কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ টাকা, ভোক্তাদের বোবা কান্না!
Published : Friday, 16 August, 2024 at 6:59 PM Count : 260
গত সপ্তাহে গাইবান্ধার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১৫০ টাকা দামে। সেটি একলাফে বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অন্যান্য সবজির দামও। এতে করে সাধারণ ভোক্তারা পড়েছে বিপাকে। নিত্যপণ্যের বাজারে অগ্নিমূল্যের কারণে হাপিয়ে উঠছেন তারা।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়- প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। এসময় উর্ধগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিকর্তও দেখা গেছে।
জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচারণ সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ক্ষেত থেকে অধিক পরিমান মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ে দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে জেলার বাহিরে মচির বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। বর্তমানে জেলার বাহিরে কাঁচা মরিচ পাঠানোয় এর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। একই সঙ্গে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসা বন্ধ হওয়ায় অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
এদিকে, দাম বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের সবজিরও। এর মধ্যে- প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। এছাড়া পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। আর অন্যা সবজির দাম স্থিশীল রয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতা জানায়।
ধাপেরগাট এলাকার কৃষক নজির উদ্দিন জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত সপ্তাহের তুলনা উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশী থাকায় পাইকারি দরে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৯০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
সাদুল্লাপুর বাজারের আলমগীর হোসেন নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায় বলেন, স্থানীয় কৃষিমাঠে মরিচের উৎপান কমেছে। সেই সাথে ভারতের মরচি আসাও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দাম বেড়ে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারে মরিচ কিনতে আসা খলিল মিয়া নামের এক রিকশাচালক বলেন, একদিকে দেশের অস্থিশীল অবস্থায় কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে শাক-সবজির দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে।
আরেক ক্রেতা মেজবাউল মিয়া বলেন, আশা করছিলাম অন্তর্বতীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। কিন্তু সেই ফল এখনো পাচ্ছি না।
স্থানীয় একটি মাদরাসা শিক্ষক মোসলেম উদ্দীন জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জানান, হাট-বাজারে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে তদারকি করা হচ্ছে।
টিএইচজে/ এসআর