বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পতনের পর দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ও সংখ্যালঘুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া কলেজ মাঠে ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার পতনের পর দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা কিছুটা হয়েছে তবে তার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে বহু বছর ধরে হিন্দু মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ভোটে হেরে যায়, যখনই আন্দোলনে হেরে যায় তখনই হিন্দুদের ঢাল বানিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
দেশের সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ সবার দেশ। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সমান অধিকার আছে। কেউ তা বিনষ্ট করতে চাইলে নেতাকর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি’র সিনিয়র এ নেতা আরো বলেন, ছাত্র-জনতা যে অভ্যুত্থান এনেছে তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। এ অর্জনকে যদি রক্ষা করতে না পারি, তাহলে আবারও অন্ধকারে ফিরে যেতে হবে।
একইসঙ্গে ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় আমাদের ভাই। তাদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা আবারও দেশে নৈরাজ্য ও অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী সরকার লুটেরা সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এ সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা নাজাত পেয়েছি, আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমরা এক ভেল্কিবাজি, ভয়ানক, হত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট, নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী শাসক শেখ হাসিনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, মো: আলম, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এএ/এসআর