৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১৫: দোকান ও বাড়ি ঘরে ভাঙচুর আগুন
Published : Wednesday, 7 August, 2024 at 10:37 PM Count : 104
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর বাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী মামুন সরকার নামেন একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত জনতা ৪টি গুদাম, ১১টি দোকান ও পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেবুর বাড়িসহ অন্তত ৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও উল্লাপাড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর জানান, উল্লাপাড়া মার্কেটের স্বত্তাধিকারী মো. তোতার সঙ্গে ব্যবসায়ী আমিনুল সরকার ও রাম কর্মকারের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সকালে পৌর বাজারে মাছের দোকানে তোতার স্বজন ঝিকিড়া মহল্লার বাবলুর সঙ্গে চর সাতবাড়ীয়া গ্রামের আমিনুলের বড় ছেলে মামুনের কথা কাটাকাটি এবং মারপিট হয়। এতে তারা দুজনই আহত হন। পরে বাবলুর সমর্থকরা রামদা, ফলা, রড নিয়ে বাজারে প্রতিপক্ষের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আহত মামুনের এলাকা চর সাতবাড়ীয়া এবং লাগোয়া রামকান্তপুর গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষনা দিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে পাল্টা হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে বাবলুর দলের লোকজনের গুদাম, ঘরবাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেনা সদস্যদের নিয়ে পাটবন্দরে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেনা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় তারা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে গত কয়েক দিনের সার্বিক পরিস্থিতি এবং উল্লাপাড়ায় বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় জেলাব্যাপী সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিজার করছে। উল্লাপাড়ায় ঘটনার পরপর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালপত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু সবাইকে ধর্য্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানান। তিনি বলেন, কিছু দুস্কৃতিকারি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা অগ্নি সংযোগ এবং লুটপাট করছে। বিষয়টি অবগত হবার পরে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং জেলা সদরের এবং জেলা ব্যাপী হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাড়ি পাহারায় এলাকাবাসী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
এবি/এসআর