নাগেশ্বরীতে বন্যায় মৎসচাষীদের কোটি টাকার ক্ষতি
Published : Tuesday, 9 July, 2024 at 5:08 PM Count : 586
নাগেশ্বরীতে চলতি দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে গেছে অনেক পুকুর ও জলাশয়। বেরিয়ে গেছে মাছ ও মাছের পোনা। প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎসচাষীদের।
উপজেলা মৎস অফিস জানায়, এ বন্যায় ডুবে যায় ৯৬০ জন মৎসচাষীর ১৭০ হেক্টর আয়তনের ৯৯৫ টি পুকুর। মৎসচাষীরা নেট জাল দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টি, উজানের ঢল, একের পর এক বাঁধ ভেঙ্গে ও উপছে যে গতিতে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত করে এতে তাদের চেষ্টায় সফলতা আসেনি। ভেসে গেছে ৭২.৬ মে.টন মাছ ও এক লক্ষ ৬০ হাজার মাছের পোনা। ক্ষতি হয়েছে ৯৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার।
বামনডাঙ্গা মিয়া পাড়ার ফারুক হোসেন জানান, গত শনিবার সকাল পর্যন্ত পুকুর অনেকটা জেগে ছিল। দুপুরের পরে তার বাড়ী থেকে কিছু দুরে দুধকুমারের পানি ভেরী বাঁধের দুইটি অংশ ভেঙ্গে সেখান দিয়ে তীব্র স্রোতে প্রবেশ করতে থাকে লোকালয়ে। তলিয়ে যায় ঘর-বাড়ী ও পুকুর। নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেয়ার সুযোগ ছিল না। বেরিয়ে যায় মাছ। এতে তার ক্ষতি হয়েছে অনেক। প্রণোদনা না পেলে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব।
পৌরসভার পুর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার আব্দুর রশিদ খোকন জানান, আর অল্প কয়েকদিন পরে মাছ তুলে বিক্রি করার কথা ছিল। এর মাঝে মিয়াপাড়ায় ভেরী বাঁধ ভেঙ্গে ও তেলিয়ানীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপছে পানি প্রবেশ করে পুকুরের মাছ বেরিয়ে গেছে। একই কথা জানান, আনিছুর রহমান স্বপন, কালীগঞ্জের যাদব চন্দ্র, শালমারা গ্রামের আব্দুল মজিদ, কুমেদপুরের আকবর আলী, ভবানন্দেরকুটির মমিন উদ্দিন, বামনডাঙ্গার চর লুছনির রফিকুল ইসলামসহ অনেক মৎসচাষী।
মৎস কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন জানান, বন্যার কিছুটা উন্নতি হলেও তলিয়ে যাওয়া পুকুরগুলো থেকে বেরিয়ে গেছে মাছ। এখনো যেগুলো জাগেনি সেগুলোতে মাছের খাবারের সঙ্গে স্পা জেল মিশিয়ে পুকুরের পানিতে বিভিন্ন জায়গায় খুটির সাথে রাখার জন্য মৎসচাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে করে এর গন্ধে পুকুরের অবশিষ্ট মাছগুলো থেকে যাবে এবং বাইরে থেকেও কিছু প্রবেশ করবে।
উল্লেখ্য, চলতি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৪ টি ওয়ার্ড।
কেএসবি/এসআর