গুপ্তধনের নামে প্রতারণা
Published : Tuesday, 9 July, 2024 at 12:34 PM Count : 138
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মো. জলিল হাওলাদারের পরিবারের সাথে গুপ্তধন দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে কবিরাজ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
জলিল হাওলাদারের বাড়িতে গুপ্তধন সংরক্ষিত আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে আমতলী থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ গ্রামের জনসাধারণ তার বাড়িতে যায়।
পরে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের উপস্থিতিতে ঘরের সিড়ির নিচে একটু মাটির নিচে একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো সিলভারের পাতিল বের করে দেন জলিল হাওলাদার। তখন সিলভারের পাতিলের মধ্যে একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের ভারতীয় ১০০ পয়সার একটি কয়েন পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জলিল হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে ফারজানা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ, অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছি, কোনো সুফল পাই নাই, সর্বশেষ আমার জামাই হিরনের মাধ্যমে জসিম কবিরাজকে বাড়িতে এনে মেয়ের চিকিৎসা করাই, মেয়ে এখন মোটামুটি সুস্থ। ওই কবিরাজ বলেছে এবং আমার মেয়ে স্বপ্নের মধ্যে দেখছে যে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পাতিল খোলা হলে পাতিলের মধ্যে থেকে কোটি টাকার সোনার পয়সা ও গুপ্তধন বের হবে। এ জন্য কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি একজন দিনমজুর অনেকের কাছ থেকে ধারদেনা করে কবিরাজ জসিমকে ৭০ হাজার টাকা দেই।
তিনি বলেন, কবিরাজ গুপ্তধন দেয়ার নামে আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি গরীব মানুষ দিনমজুরের কাজ করি। আমি এই কবিরাজের বিচার চাই।
আমতলী থানার এসআই মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় অনেক লোকজন দেখতে পাই। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে পাতিল খোলা হলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের ৫ পয়সার একটি কয়েন ও ১৯৯৪ সালের ভারতীয় ১০০ পয়সার একটি কয়েন পাওয়া যায়। কবিরাজকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কবিরাজকে খোঁজা হচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির সেরনিয়াবাত বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এসকে/এমএ