রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গেল সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও মাংসের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।
শনিবার সপ্তাহের প্রথম দিনে মহানগরীর সাহেববাজার, সাগরপাড়া, সাধুরমোড়, তালাইমারী, কাজলা ও বিনোদপুর বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালিতে। প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে অথচ গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আদা ও রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা। মিষ্টিকুমড়া ৫০, ঝিঙে ও ধুন্দুল ৫০, সজনে ডাঁটা ৮০, পটল ৫০, লাউ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকাতে। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গরু প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা ও খাসি ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মহানগরীর সাগরপাড়ায় সবজি কিনতে আসা মোনায়েম হোসেন নামের বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, গত সপ্তাহে যে সবজি ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম আজ এসে দেখি তা ৬০ টাকা হয়ে গেছে। বিশেষ করে করলা, শসার দাম প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। এছাড়াও পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। মরিচও কেনা যাচ্ছে না অতিরিক্ত দামের কারণে।
সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা সামাদ আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শুধু আমাদের দোষারোপ করে কোনো লাভ নাই।
সবজি কিনতে আসা সুলতানা পারভীন বলেন, গত সপ্তাহে ২০০ কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এসে দেখি তা ২৬০ কেজি হয়ে গেছে। বাসায় কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্না-বান্না করা যায় না। বাধ্য হয়ে এই দামে কিনতে হচ্ছে। আমাদের সীমিত আয়ে চলতে হয়। হুট করে দাম বাড়লে আমাদের কষ্টও বেড়ে যায়।
-আরএইচ/এমএ