বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় মাঠে জমে হাঁটু পানি
Published : Tuesday, 2 July, 2024 at 3:59 PM Count : 160
বরগুনার আমতলীর পৌর শহরে বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় বিদ্যালয়ের মাঠ। হাঁটু পরিমাণ পানি জমে এ মাঠে। এ অবস্থা পৌর শহরের আমতলী মফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় মাঠটি জলমগ্ন হয়ে আছে। কর্দমাক্ত ও স্যাঁতস্যাঁতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে যায়। এতে নোংরা হয় তাদের জামা-কাপড়, ভিজে যায় বই খাতা।
এছাড়া, মাঠে জমে থাকা কাদা পানির কারণে শিক্ষার্থীরা শরীর চর্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারে না। এতে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আতিক ও ৭ম শ্রেণীর লামিয়া বলেন, তারা বাড়িতে বদ্ধ পরিবেশে থাকে, আবার বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণিকক্ষেও একই অবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, মাঠটি শুধু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরই নয়, পৌর শহরের যুবকদেরও খেলাধুলার মাঠ। মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা এবং পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে পুকুরসহ বাড়িঘর নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ হান্নান বলেন, এই বিদ্যালয়ে ৪৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে নিষ্কাশনের পথ না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠজুড়ে থই থই করে পানি। বর্ষার সময় মাঠে পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা ও মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুসরাত লিমু বলেন, মাঠ একটু নিচু হওয়ায় বৃষ্টি হলে মাঠে পানি জমে যায়। দ্রুত মাঠে মাটি ভরাট না করলে স্কুল চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। স্কুল মাঠে যেন দ্রুত মাটি ভরাট করা হয় এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
এসকে/এমএ