লাখের নিচে মিলছে না কোরবানিযোগ্য গরু
Published : Monday, 3 June, 2024 at 3:10 PM Count : 146
রাজশাহী অঞ্চলের কোরবানির পশু বিক্রির সবচেয়ে বড় হাট মহানগরীর সিটি গরুর হাট। সিটি হাটে সপ্তাহের প্রথম হাটে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কেনাবেচা জমজমাট করতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ইজারাদাররা। পশুও উঠেছিলো প্রত্যাশা অনুযায়ী।
তবে বেলা গড়ালেও হতাশ হয়েছেন বাইরের বড় ব্যবসায়ীরা হাটে না আসায়। কেনো না পশু এলেও আসেনি বড় ক্রেতারা। এতে হাতেগোনা কিছু বেঁচা-বিক্রি হলেও হাট জমে উঠেনি।
রোববার দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক ধরে প্রবেশদ্বারের দু’পাশের দেড়-দুই শো মিটার রাস্তায় গরু না থাকলেও মূল হাটে প্রচুর গরু রয়েছে। কড়া রোদে গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শত শত ব্যবসায়ী ও খামারি। কিন্তু ক্রেতার হাঁক-ডাক তেমন জমে উঠে নি। যে দু’একজন করে ক্রেতা আসছেন, তারাও লাভের মুখ তো দূরের কথা, যে খরচ হয়েছে সে দামও বলছেন না।
ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম চড়া। মোটেও ছাড় দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। গরুর দাম লাখের উপরে উঠছে। শেষ দিকে হয়তো দাম কিছুটা কমবে। ফলে তারা আরও সময় নিবেন গরু কিনতে।
আর বিক্রেতা ও খামারিরা বলছেন, গরুর খাবারের দাম বেশি। ছয় মাস বা এক বছর যেসব গরু লালন-পালন করা হয়েছে, তার পেছনে বড় অংকের টাকা খাবার ও চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে। তাই ভালো দাম না পেলে গরু বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী মন্টু পাঁচটি গরু নিয়ে সিটি হাটে এসেছেন। তিনি জানান, বাজার নরম। হাটে ক্রেতা একদমই কম। গরুর দামই বলতে চায় না কেউ। দাম শুনেই চলে যাচ্ছে।
গরু ব্যবসায়ী ও ইজারাদার বলছেন, এ হাটের মূল ক্রেতাই হলো বাইরের বড় ক্রেতারা। যারা বড় বড় গাড়ি করে গরু কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু রোববার সকল প্রস্তুতি থাকলেও বড় ব্যবসায়ীরা আসেননি। এ কারণে বেঁচা বিক্রিও জমেনি।
এদিকে, এবার গরুর দাম বেশি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এক লাখের নিচে কোরবানিযোগ্য গরু যেটিকে ‘দাঁতা গরু’ বলে সেটি এবার মিলছে না।
সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান বলেন, বাইরের ব্যবসায়ীরা আসেনি। এ কারণে হাট জমে ওঠেনি। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো রোববার থেকেই হাট জমে উঠবে। এখন দেখা যাক সামনের দিনগুলো কেমন হয়।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এ বছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত রয়েছে চার লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি, মহিষ রয়েছে তিন হাজার ৭৬৯টি ও ছাগল রয়েছে তিন লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আখতার হোসেন জানান, রাজশাহীতে বিগত বছরের তুলনায় এবারও পশু চাহিদার চেয়ে বেশি আছে। এবার উৎপাদন খরচ বেশি, এবার দামও কিছুটা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
-আরএইচ/এমএ