রোগীকে ধর্ষণ, কথিত চিকিৎসক গ্রেপ্তার
Published : Monday, 3 June, 2024 at 1:35 PM Count : 194
নোয়াখালীর চাটখিলে চিকিৎসা নিতে আসা এক কলেজছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের ঘটনায় কথিত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
একইসঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আকিব ওসমান অভিযান চালিয়ে অপচিকিৎসা এবং ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হওয়ার অভিযোগে কথিত চিকিৎসক পলাশের চেম্বার রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্ক সীলগালা করে দিয়েছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে (রোববার) চাটখিল পৌর বাজারের হাসপাতাল রোডের এই ভুয়া চিকিৎসকের নিজস্ব চেম্বারে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্ত এই ভুয়া চিকিৎসক চাটখিল পৌর বাজারের রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী জানান, নুর হোসেন পলাশ গত ২৬ মে (রোববার) কলেজে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার দিকে তার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তাকে চেম্বারে ডেকে নেন। চেম্বারে যাওয়ার পর তার মাস্ক খুলে তার নাকের কাছে কিছু একটা ধরে তাকে অবচেতন করে তার চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফেরার পর বার বার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ভুক্তভোগী সে সময় রক্ষা পাননি।
ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন তাকে ছুরি দেখিয়ে এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। যে কারণে প্রথম কয়েক দিন কাউকে না বললেও একদিন আগে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা চিরকুটে লিখে দেন। বাবা জীবিত না থাকা এবং সামাজিক ভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে পরিবারটি এ বিষয় এতোদিন কোথায়ও কোনো অভিযোগ করেননি।
রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী তার মাকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিনের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানালে তিনি তৎক্ষণাৎ চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগী এবং তার মাকে থানায় প্রেরণ করেন।
ইউএনও জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎক্ষণাৎ আসামিকে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমি প্রত্যাশা করছি এই আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে সোমবার সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
-এফএস/এমএ