গুটি আমে জমেনি বানেশ্বরের হাট, শনিবার আসছে গোপালভোগ
Published : Thursday, 23 May, 2024 at 5:11 PM Count : 116
গত ১৫ মে থেকে গুটি জাতের আমপাড়া শুরু হয়েছে। তবে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়ার বানেশ্বরে তেমন উঠছে না। যদিও গতবছরের এই সময়ে গুটি আমের পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল বানেশ্বরে।
কিন্তু এ বছর আম নেই বললেই চলে। বুধবার দুপুর ১২টায় বানেশ্বর হাটে গিয়ে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের দাবি- হাটে আমের চাহিদা আছে। তবে যোগান অনেক কম। আম বিক্রেতারা হাটে যতটুকু আম নিয়ে আসছেন তা চাহিদার তুলনায় কম। ফলে হাটে আম নিয়ে আশা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিরতি দিয়ে হাটে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশায় আম নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। এসব গাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ ক্যারেট (আম রাখার ঝুড়ি) আম থাকছে। গুটি জাতের এই আম ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে কেনা-বেচা হয়েছে। তবে আম পরিপক্ক না হওয়ায় বিভিন্ন আচার তৈরি কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন।
বানেশ্বর হাটে আম বিক্রেতা রাজিবুল ইসলাম বলেন, গাছে খুব কম আম এসেছিল। সাতটি গাছে আম হয়েছে ২০ ক্যারেট। তবে গত বছর একই পরিমাণ গাছে ৫০ ক্যারেট আম হয়েছিল। কিন্তু এই বছর কম। তবে এবছর তুলনামূলক আমের দাম ভালো আছে। বর্তমানে গুটি জাতের কাঁচা আম প্রকার ভেদে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
আরেক বিক্রেতা রমজান আলী জানান, গত বছর এই সময় প্রচুর আম হাটে উঠেছিল। কিন্তু এই বছর হাতেগোনা অল্প কিছু আম উঠেছে। তবে আগামী শনিবার (২৫ মে) থেকে বানেশ্বর হাট জমবে। কারণ, এইদিন থেকে গোপালভোগ বা রানিপসন্দ আমপাড়া নামানো শুরু হবে। এই আমগুলো খেতে বেশ সু-স্বাদু। তাই ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ ভালো থাকবে। এতোদিন যে আম কেনা-বেচা হয়েছে তা আচারের জন্য। খুব বেশি পাঁকবে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী শনিবারে গোপালভোগ আমপাড়া শুরু হওয়ার ৫ দিনের মাথায় লক্ষ্মণভোগ বা লখনা আমপাড়া হবে। গুটি জাতের আম আচারের জন্য কিনলেও মূলত এই আম কেনা-বেচা হবে পাকা খাওয়ার জন্য। তবে গোপালভোগ আমপাড়া শুরু হলে পুরোদমে রাজশাহীতে আম কেনা বেচা শুরু হবে।
জানতে চাইলে বানেশ্বর হাটের ইজারাদার তৌহিদুল ইসলাম তোতা বলেন, হাটে তেমন আম উঠেনি। বর্তমানে বাজারে যে আম আসছে, তাদিয়ে আচার তৈরি করা হয়। এ কারণে বাজারে বিভিন্ন আচার কম্পানির ক্রেতারা বেশি। তবে আগামি শনিবার থেকে বেশি আম হাটে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, ওইদিন থেকে গোপালভোগ আমপাড়া শুরু হবে। তখন মানুষ পাঁকা আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য কিনবেন।
আরএইচ/এমবি