পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি যেটি ঘোষণা করেছে সেটি হচ্ছে থ্রি-সি ভিসা পলিসি। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেটি হচ্ছে ৭০৩১(সি) অব দ্য অ্যানুয়াল ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশনস, অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপিপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের অধীনে।
তিনি বলেন, আজিজের বিরুদ্ধে যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে তার অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি, অন্য অ্যাক্টের অধীনে তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন। সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়ে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করছি।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে আগে জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যুক্তরাষ্ট্র মিশনকে আগে জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ এটি ঘোষণার আগে জানানো হয়েছিল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে আছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন, মানবপাচার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করছি। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সেনাবাহিনীর বিষয়। সেনাবাহিনীর বিষয় যেহেতু তাই এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। যেহেতু তিনি সাবেক সেনাপ্রধান, এটি সেনাবাহিনীর বিষয়।
স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।