সম্মান হারানোর ভয়ে নির্বাচনে আসে না বিএনপি: নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
Published : Tuesday, 21 May, 2024 at 12:34 PM Count : 192
দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভোটারদের যদি কেউ ভয় পায় সে তো ভোটে আসবে না। গত কয়েকদিন আগে একজন প্রার্থী আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে যে ভাই আমার সম্মানটা যেন থাকে। একজন প্রার্থী যেতার জন্য নয়, সম্মানজনক ভোটটা যেন পায় সেটার জন্য তার চিন্তা। বিএনপি বুঝতে পেরেছে এই সম্মানটাও তাদের থাকবেনা। তারা এখন ভোট বর্জন শুধু না, দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের ভোট বর্জন কর্মসূচিকে জনগণ বর্জন করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকার ধনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপস্থিতি খুবই ভালো, মানুষের আগ্রহ আছে। কয়েক দিন যাবত যে প্রচারণা তাতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেক প্রার্থী। চেয়ারম্যান ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আছে। তারা ভোটারদের ঘরে ঘরে গেছে। তবে কথা হচ্ছে এখন কিন্তু খুব কাজের মৌসুম, এই সময় প্রচন্ড গরম, বৃষ্টি হচ্ছে, এর মধ্যেও প্রচারণা ভালো হয়েছে, মানুষের আগ্রহ আছে। ভোট দেয়ার জন্য খুবই সুন্দর পরিবেশ।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা যে ভোট কেন্দ্র দখল করা, ভোটে যে কারচুপি বা অনৈতিক কাজকর্ম ভোটের মধ্যে ছিল এগুলো ভোটের মাঠ থেকে ধিরে ধিরে হারিয়ে যাচ্ছে। চলমান ভোটগুলো দেখছি তার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এইটা। মানুষ এই জায়গাগুলো পছন্দ করছে না, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরাও এসবের মধ্যে নেই। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছে। ভোটাররা যাকে ভাল মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। এই কথা প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বলেছিলেন। আর এখন সেটাই হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের এই যে এগিয়ে যাওয়া, সমগ্র পৃথিবী যুদ্ধের মধ্যে জড়ায়ে গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর দেশে দেশে। এই রকম একটা পরিস্থিতিতে কোথায় তারা (বিএনপি) দেশের পক্ষে কথা বলবে, উল্টো দেশকে কিভাবে টেনে নিচে নামানো যায় সেই প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে তারা জড়িত। এটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক। কারণ আমরা দেখেছি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দূরাবস্থা দেশকে অন্ধকারের দিকে তলিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছে। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব মাথা উচু করে দাঁড়াক তারা চায় না। এ জন্য বিএনপির অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার দরকার নাই। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তারা সাহায্য নির্ভর রাজনীতি করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র মো. আসলাম প্রমুখ।
এএইচ/এমএ