সমুদ্রে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু, ঘাটে ফিরেছে শত শত ট্রলার
Published : Sunday, 19 May, 2024 at 5:21 PM Count : 230
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল হওয়ায় বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নদীর মোহনা এলাকায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে চলমান থাকবে আগামী (২৩ জুলাই) মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত।
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যে ঘাটে ফিরেছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার।এসকল ট্রলারের অধিকাংশই মাছ ছাড়া ঘাটে ফিরে এসেছে।বেশ কয়েকমাস ধরে সমুদ্রে জেলেদের জালে মাছের পরিমাণ কম ধরা পড়ছে বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।রবিবার পটুয়াখালীর মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরে ঘুরে দেখা যায় শত শত জেলে তাদের ট্রলার ঘাটে রেখে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কেউ কেউ মাছ ধরার জাল বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন অবসর সময়ে জাল মেরামত করবেন বলে।
এদিকে ৬৫ দিনের অবরোধ শুরু হওয়াতে জেলেরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে বলে জানান স্থানীয় জেলে রুহুল মাঝি।রুহুল মাঝির সাথে কথা বললে তিনি জানান, বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১৪৭ দিন সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।আমাদের পরিবার নিয়ে জীবনযাপনে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সরকারের তরফ থেকে আমাদের জেলেদের জন্য যে চাল বরাদ্দ করা হয় তা দিয়ে একটা পরিবারের কিছুই হয়না।বিগত কয়েকমাস সাগরে মাছ খুব কম পেয়েছি যা দিয়ে মালিকদের খরচের টাকাই মেটাতে পারিনি এরমধ্যে এখন আবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় পড়লাম জানিনা কী ভাবে কী করবো।
বছরে কয়েকবার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেয়াতে ব্যবসায়ীরাও চরম আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন বলে জানা যায়।
মৎস্যবন্দর আলিপুরের বাচ্চু ফিসের মালিক আবুল হোসেন কাজী জানান, বাংলাদেশের অন্যতম বড় দুটি মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর।প্রতিদিন এখান থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ চালান হয় দেশে এবং দেশের বাহিরে।বিগত কয়েকমাস ধরে আমাদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে।বেশিভাগ ট্রলার মালিক বাজারের টাকার সমমূল্যের মাছ পাননি।এর ভিতরে বছরে ২/৩ বার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সব মিলিয়ে এই পেশা এখন আমাদের জন্য খুব কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে মৎস্য অধিদপ্তর মনে করছে এসকল নিষেধাজ্ঞা জেলেদের ভালোর জন্যই দেয়া হয়।এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘মূলত দুটি কারণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।প্রজনন সুবিধায় যাতে মাছ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে।আর অপরটি হলো- ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা যদি সঠিক ভাবে পালন করা হয় এর সুফল জেলেরাই ভোগ করবেন।তবে জেলেদের যেসকল দাবি রয়েছে সেসব বিষয় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেছি।’
এমপি/এমবি