রাজশাহীতে বিক্রয়কর্মীকে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
Published : Wednesday, 15 May, 2024 at 8:10 PM Count : 174
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোবাইল ফোনের দোকানের এক বিক্রয়কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দু’জনর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজীপাড়ার আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের মাসুদ রানা (২৬)। এছাড়া আরও এক আসামির তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম মেহেদী হাসান রকি (২৫)।
নিহত জহুরুল ইসলামের (২৩) গ্রামের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেকট্রনিকসের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আমবাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জহুরুল ইসলামকে। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই জহুরুলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাঁদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তাঁরা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। মোবাইল ফোনসেটগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন। ৬ জানুয়ারি বাঘার তেঁতুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে জহুরুলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাঁর ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তে দুজনের নাম পাওয়া যায়।
এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পুলিশ তদন্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরএফ/এসআর