For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী যারা

Published : Thursday, 9 May, 2024 at 10:45 AM Count : 262

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

গাজীপুর
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আমজাদ হোসেন স্বপন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪৩ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আমজাদ হোসেন স্বপন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। 

বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার সব কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

আমজাদ হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দোয়াত কলম প্রতীকের এ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান। তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৫৬ ভোট।
অন্যদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোজাম্মেল হক। তিনি টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালা প্রতীকের আবু জাফর মুহাম্মদ শামসুল হুদা। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৬৬ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন হাঁস প্রতীকের জুয়েনা আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকের শর্মিলী দাস পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫২০ ভোট।

গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে বুধবার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া (টেলিফোন) ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিয়াকত আলী ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৪ ভোট।

কোটালীপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস (দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবুর রহমান হাওলাদার (চিংড়ি) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৮২ ভোট। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. বাবুল শেখ (দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী মাসুদুল হক মাসুদ পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫১ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়জুল মোল্লা বলেন, সদর উপজেলায় মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মো. বাবুল শেখ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ 
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৫৩। অপর প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ ভোট।

ফরিদপুর
ফরিদপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ১৬  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ নিজামউদ্দিন  (টেলিফোন) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান দোয়াত কলম প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৫ ভোট।

শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এ কে এম ইসমাইল হক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মামুন শিকদার ভিপি মোস্তফা পেয়েছেন ২০ হাজার ৫২৭ ভোট। টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এ কে এম ইসমাইল হক।

বুধবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫২৫ ভোট।

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদ ইউসুফ জুয়েল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৮৪ ভোট। 

কাজিপুরের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিল সিরাজী আনারস প্রতীকে ৪৫ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬০৪ ভোট।

বেলকুচিতে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদিউজ্জামান ফকির মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৭ ভোট। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলা পরিষদ সম্পন্ন হয়েছে। 

নাটোর
নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়েছেন। শরিফুল ইসলাম রমজান সদর উপজেলায় টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৭ ভোট।

এদিকে সিংড়া উপজেলায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পাশা।

পাবনা
পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন  (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪  ভোট।

বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ভোট করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ‍তিনি।

রাঙামাটি
রাঙামাটি সদরে অন্নসাধান চাকমা, কাউখালী উপজেলায় শামসুদ্দোহা চৌধুরী, বরকল উপজেলায় বিধান চাকমা ও জুরাছড়ি উপজেলায় জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেএসএস সমর্থীত প্রার্থী অন্নসাধন চাকমা দোয়াত কলম মার্কায় ১৪ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা উট মার্কায় পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯ ভোট।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পলাশ কুসুম চাকমা ১১ হাজার ৪৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দয়াময় চাকমা পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১১৮ ভোট। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিতা চাকমা ২০ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসরিন ইসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৭৩ ভোট।

কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী মো. শামসুদ্দোহা চৌধুরী আনারস মার্কায় ২৩ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মংসুইউ চৌধুরী ঘোড়া মার্কায় পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২৮ ভোট।

কাউখালী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নিংবাইউ মারমা ভোট পেয়েছে ২১ হাজার ৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃপা চাকমা পেয়েছে ১৩ হাজার ২৬৮ ভোট। 

বরকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেএসএস সমর্থীত প্রার্থী বিধান চাকমা দোয়াত কলম মার্কায় ১১ হাজার ৩২৮ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সন্তোষ বিকাশ চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে ছয় হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়েছেন। তবে সন্তোষ কুমার চাকমা বরকল উপজেলায় পুনঃভোট দাবি করেছেন। 

বরকলে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাাচিত হয়েছেন জ্ঞানজ্যোতি চাকমা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুচরিত চাকমা।

জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা আনারস মার্কায় চার হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী প্রার্থী সুরেশ চাকমা দোয়াত কলম মার্কায় পেয়েছে তিন হাজার ৪৩০ ভোট।

জুরাছড়িতে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাাচিত হয়েছেন কামিনী রঞ্জন চাকমা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনিতা দেবী চাকমা।

এর আগে বুধবার বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে পার্বত্যাঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বিরুদ্ধে ভোট প্রদানে বাধাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন বরকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সন্তোষ কুমার চাকমা। 

এছাড়া, জুরাছড়ি উপজেলার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত সুরেশ কান্তি চাকমা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে কোনো প্রকার বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে এই ভোটগ্রহণ। প্রথম ধাপে রাঙামাটি সদর, বরকল, জুরাছড়ি এবং কাউখালীতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে চার উপজেলায় ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বান্দরবান 
বান্দরবান সদর ও আলীকদম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কুদ্দুস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীক পেয়েছেন তিন হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন।

সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকে ফারুক আহমেদ ১৩ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজ্ঞাসার বড়ুয়া পাপন (টিয়া পাখী) পেয়েছেন সাত হাজার ৭৫১ ভোট। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে প্রজাপতি প্রতীকে মেহাইনু মারমা নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সানজিদা আক্তার (কলস) পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮০৬ ভোট।

অন্যদিকে, আলীকদম উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবুল কালামকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ৭০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবুল কালাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ৫১৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকে রিটন নয় হাজার ১৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কফিল উদ্দিন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন সাত হাজার ৫৪৬ ভোট। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে শিরিনা আক্তার আট হাজার ৮৬৮ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াসমিন আক্তার (পদ্ম ফুল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮২৫ ভোট।

বান্দরবান জেলা নির্বাচন অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে ৬৬টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে বেসরকারিভাবে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।

নোয়াখালী
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী।  

বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন।

আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট। ৬১টি কেন্দ্রের ফলাফলে সাবাব চৌধুরী ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।  

এছাড়া, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আবদুল্যাহ আল মামুন নির্বাচিত হন। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮ ভোট। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুন্নী আহমেদ পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪১১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলেয়া বেগম পেয়েছে ছয় হাজার ৩২৬ ভোট। 

ফেনী 
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি জানান, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হারুন মজুমদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ জাফর উল্ল্যাহ ভূঁঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

চাঁদপুর
চাঁদপুরে দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক।

মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জি ৩৩ হাজার ৭৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের মুক্তার গাজী পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৩৯ ভোট। অপর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮ ভোট। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল হাসান রিয়াজ টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী ৪৭ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান তালা প্রতীকে প্রার্থী ১৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩.৭৯ শতাংশ।

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় তিন জন প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯১০টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের সৈয়দ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১১৬ ভোট। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন দু'জন। তাদের মধ্যে নাজমা আক্তার আসমা (আখি) ২৩ হাজার ২৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর আক্তার (শীলা মনি) হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২২ ভোট। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দেওয়ান শওকত আলী বাদল। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৬ জন। এরমধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৩. ৪১ শতাংশ।

মেহেরপুর
মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ ভোট গণনা শেষে রাতে দুই উপজেলার ফলাফল ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আবু আহাদ আল মামুন ৩ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়েছেন। 

বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুল রহমান এ তথ্য জানান।

অন্যদিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আখতার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। 

খোকসা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দামুড়হুদায় আলী মুনছুর ও জীবননগরে মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার রাত পৌণে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান বেসরকারি ফলাফল সংবাদ কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম ১৩ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট আবু তালেব পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯০ ভোট।

জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ৯ হাজার ৪৩৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

দামুড়হুদা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তানিয়া খাতুন। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা খাতুন ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন। জীবননগর উপজেলায় বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেনুকা আক্তার রিতা। তিনি হাস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০৮ ভোট। আর কলস প্রতীক নিয়ে আয়েশা সুলতানা লাকী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬৬ ভোট।

এদিকে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দামুড়হুদায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবীর ইউসুফ ও জীবননগরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর
যশোরে দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

বুধবার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন। 

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এছাড়া এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

পিরোজপুর
পিরোজপুরের সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রা‌তে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বাচনে বিজয়ী‌দের নাম ঘোষণা ক‌রেন। 

পিরোজপুর সদর উপজেলায় এসএম বায়জিদ হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিউল হক মিঠু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬০৭ ভোট। 

ইন্দুরকানী উপজেলায় জিয়াউল আহসান গাজী আনারস প্রতীকে ১১ হাজার ২০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজুল কবির দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৩ ভোট। 

নাজিরপুর উপজেলায় এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন দোয়াত কলম প্রতীকে ১৯ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী সিকদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৯৩ ভোট।

পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এস মো. শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি। 

তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।

অপরদিকে আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।

দিনাজপুর
দিনাজপুরে হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও বিরামপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজী শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন আট হাজার ৩৮৪টি।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে (পুরুষ) সাংবাদিক ইফতেখার আহমেদ বাবু ১১ হাজার ৬৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা আট হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে (মহিলা) নার্গিস আক্তার ১০ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাজেদা বেগম আট হাজার ৯০৯ ভোট পেয়েছেন।

এ নির্বাচনে ৩৯ দশমিক ৪১ পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাহিনুর আলম।

হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।

বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ ভোট।

কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। 

চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

রাজিবপুরে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির এসব তথ্য জানান।

সিলেট
সিলেটে চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম টুনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

বুধবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্য জানান।

অন্যদিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২১ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৮ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ১৭ ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিদুর রাহমান জাবেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট পেয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।

মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলমের প্রার্থী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী রাজকুমার কালোয়ার রাজু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নেহার বেগম নির্বাচিত হয়েছেন। 

বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ফলাফল বেসরকারি ভাবে ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার। 

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫২ ভোট। 

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজকুমার কালোয়ার রাজু চশমা প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম সবুজ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৪ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগম ফুটবল প্রতীকে ৭১ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৬১৬ ভোট।

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আনারস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম রাসেল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৬ ভোট।

হালুয়াঘাট উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মো. আব্দুল হামিদ আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

ধোবাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট।

রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,