উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
গজারিয়ায় প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
Published : Tuesday, 7 May, 2024 at 3:35 PM Count : 282
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে, গজারিয়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৬০টি ও বুথের সংখ্যা ৩৭৮টি।নির্বাচনে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন র্যাব, ৪১ জন নৌপুলিশ এবং ৯টি মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭/১৮ জন পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৫ হাজার ৯৪৬ জন ও নারী ভোটার ৭১ হাজার ৩০০ জন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনটি পদেই দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ খাঁন জিন্নাহ (কাপ পিরিচ), উপজেলা যুবলীগ নেতা ও প্রার্থী আমিরুল ইসলামের ভাতিজা আবুল বাসার সজল (ঘোড়া) এবং তার ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আশরাফুল ইসলাম আকাশ (দোয়াত কলম)।
এই নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ খাঁন জিন্নাহর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থনে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তার নির্দেশনা মতে, দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই আমিরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করায় তার জয়ের পাল্লা ভারি বলে দলীয় নেতাকর্মীদের অভিমত।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন (চশমা), ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাইফুল ইসলাম মন্টু (টিউবওয়েল), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুনায়েত হোসেন মনির (তালা) ও মনসুর আলম (বই)। তাদের মধ্যে আতাউর রহমান নেকী খোকন ও সাইফুল ইসলাম মন্টুর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্ম ফুল), কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ নেত্রী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস), উপজেলা যুব মহিলা নেত্রী নুসরাত জাহান মিতু (হাঁস) ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মোসাম্মদ মীনা আক্তার মিনু (ফুটবল)। তাদের মধ্যে খাদিজা আক্তার আঁখি ও মেহেরুন নেছা উত্তরার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে এলাকার ভোটারদের ধারণা।
প্রথম ধাপে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর পর পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দুটিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদের প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয় পায়। ফলে আগামী ০৮ মে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে না।
-এমএইচ/এমএ