জেলে সেজে সর্ববৃহৎ ইয়াবা চালান জব্দ করল পুলিশ
Published : Monday, 29 April, 2024 at 7:29 PM Count : 88
পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করে লুঙ্গি ও গামছা পরিহিত হয়ে মাছ ধরার জেলে সেজে রাতভর সমুদ্র মোহনায় ওঁৎ পেতে ছিল পুলিশ।
পুলিশের জেলে সাজার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো-সমুদ্র পথে পাচার হওয়া ইয়াবার সর্ববৃহৎ চালান জব্দ করা। অবশেষে রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার সাথেই আসে ইয়াবার সর্ববৃহৎ চালান জব্দের মাহেন্দ্রক্ষণ।
চকরিয়া থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলীর গত একসপ্তাহ ধরে চালানো তৎপরতার পর সর্ববৃহৎ এই ইয়াবার চালান জব্দ করতে সক্ষম হলো পুলিশ। এতে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী নিজেই।
পুলিশ জানায়-কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে পাচারের সময় এক চালানেই জব্দ করা হয় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এটি চকরিয়া থানার ইতিহাসে বড় চালান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পশ্চিমাংশের চকরিয়া-মহেশখালী সমুদ্র চ্যানেলের বহলতলী চিংড়িজোন এলাকায় ইয়াবা উদ্ধারের দুঃসাহসিক এই অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর সাথে ছিলেন থানার অপারেশন অফিসার রাজীব কুমার সরকার, এসআই যথাক্রমে জামাল চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, এএসআই পারভেজ মাহমুদসহ সঙ্গীয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
পুলিশ জানায়-চকরিয়া থানার ইতিহাসে এত বড় ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়নি। এবারই প্রথম এই ইয়াবার চালান জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম কেটে একে একে বের করা হয় অত্যাধুনিক মোড়কের ১২৫টি কার্ড বা পোটলা। এসব পোটলার প্রতিটিতে ১০ হাজার পিস করে সর্বমোট ১২ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হলো।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত একসপ্তাহ ধরে ইয়াবার এই চালান জব্দ করার জন্য পুলিশের চোখে ঘুম ছিল না। গোপন সোর্সের দেওয়া তথ্য শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার দিবাগত রাত থেকে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মাছ ধরার জেলে সেজে সমুদ্র উপকূলের চকরিয়া অংশের খুটাখালীর বহলতলী চিংড়িজোন এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকে। এতে পরদিন সোমবার ভোরে আসে ইয়াবার চালান জব্দের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার এম এম রকীব উর রাজা বলেন, ‘সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান পাচারের ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে, তাদের ব্যাপারে ব্যাপক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের তৎপরতার ইয়াবাভর্তি ট্রলার ফেলে যারা পালিয়েছে তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এফআই/এমবি