রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়
Published : Monday, 29 April, 2024 at 12:10 PM Count : 79
সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপদাহের সাথে বইছে গরম হাওয়া। প্রচন্ড গরম, কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন আলেম উলামা ও সাধারণ মুসল্লীরা।
রোববার বাদ আসর উপজেলার নেকমরদ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের খোলা আকাশের নিচে ফাঁকা মাঠে ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে এলাকার শত শত মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।
নামাজে ইমামতি করেন নেকমরদ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
নামাজের পরে খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লীরা অঝোরে তাদের চোখের পানি ফেলে এক পশলা রহমতের বৃষ্টির জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন।
মোনাজাত পরিচালনা করেন নেকমরদ পুরাতন গরুগাটি মসজিদের ইমাম মাওলানা ওয়ালিল্লাহ সাহেব।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লীরা জানান, প্রচন্ড তাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষি জমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মানুষ। এই অবস্থায় বৃষ্টি হওয়াটা খুব দরকার। বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে। আল্লাহ তাআলা সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানি চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেছি।
নামাজে অংশ নেয়া কৃষক রহমত আলী ও আরমান মিয়া বলেন, ‘আমরা কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। বৃষ্টির কারণে আমরা কোনো ফসল রোপণ করতে পারছি না। এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’
নেকমরদ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব কাজী মাওলানা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম। মহান আল্লাহ আমাদের দ্রুত রহমত করুন ও বৃষ্টি দিন।
-এএ/এমএ