চিরিরবন্দরে গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত
Published : Tuesday, 23 April, 2024 at 4:23 PM Count : 230
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গরম আর প্রখর রোদে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুপুরের প্রখর রোদে পায়ে হেঁটে চলা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তি ও ঝুঁকিতে। কর্মজীবিদের দুর্ভোগও কম নয়। তাপমাত্রা ৩৫-৩৭ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে চরম দুর্ভোহে পড়েছে মানুষ। অসহনীয় গরমে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
তবে গরমকে কেন্দ্র করে উপজেলায় পানীয়, শরবত, আখের রস, বেল, তরমুজ, ডাব বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে এ গরমে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও পানিশুন্যতা রোগ। এ পরিস্থিতিতে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার দিনাজপুরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গরম আর প্রখর রোদে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র গরমকে আরও অসহনীয় করে তুলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। উপজেলায় গরম যেন কমছেই না। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে মানুষ।
গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের ছায়ায় রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। উপজেলার গ্রামীণ শহর রানীরবন্দরের কলেজ মোড়ে ভাড়া নামিয়ে দিয়ে রিকশাভ্যানের উপরই একটু ঘুমাতে দেখা যায় রিকশাভ্যান চালক মো. লুৎফর রহমানকে।
তিনি জানান, গরমে আর ভালো লাগছে না। তাই ভাড়া যাওয়া ছেড়ে দিয়ে গাছের ছায়ায় রিকশাভ্যানের উপরেই শুয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। রোদ আর গরমে কোনোভাবেই টিকে থাকা যাচ্ছে না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ থাকতে হলে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার খেতে হবে। কারণ গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যাচ্ছে। রোদে ছায়ার মধ্যে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বের হলে সঙ্গে ছাতা নিতে হবে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় দিনাজপুরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে তাপমাত্রা একটু কমতে পারে।
এমইউএ/এসআর