বগুড়ার শিবগঞ্জে এশিয়া হাইওয়ে ফোরলেন মহাসড়কে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে। ঘটনাস্থলেই জাহানারা বেগম (৫০) নামে এক অটোরিকশা যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অটোরিকশা চালকসহ ৩ যাত্রী আহত হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার রহবল দো সীমানা এলাকায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাহানারা বেগম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম কচুয়া অনন্তপুর এলাকার আলিম উদ্দিনের স্ত্রী।
জানা যায়, মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলা অংশে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ ও গোবিন্দগঞ্জ অংশে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু রোববার গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ সীমানা পেরিয়ে শিবগঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করে চেকপোস্ট পরিচালনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গোবিন্দগঞ্জগামী একটি সিএনজিকে সিগন্যাল দিলে পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করেন চালক। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতগামী একটি প্রাইভেট কারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা যাত্রীর মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু বলেন, ফোরলেন রাস্তার দো সীমানা এলাকায় চেকপোস্ট বসানো অযৌক্তিক। এখানে চেকপোস্ট বসালে যানজট লাগার সম্ভাবনা আছে। উপরন্তু গোবিন্দগঞ্জের হাইওয়ে পুলিশ কি করে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের এলাকায় এসে চেকপোস্ট পরিচালনা করে তা আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, চেকপোস্ট আমাদের সীমানার মধ্যে বসানো হয়েছিল। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটেছে শিবগঞ্জ সীমানায়।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্বাস আলী সীমানা অমান্য করে চেকপোস্ট বসানোর বিষয়ে কোন বক্তব্য দেননি। এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন বলে জানান।
এসআর