For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

'আমাদের ভাষা-সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চাই'

Published : Sunday, 14 April, 2024 at 7:18 PM Count : 116

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, আমার ভাষা, আমার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আমার জন্য গৌরবের। আমরা আমাদের গৌরবান্বিত ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চাই। 

রোববার খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পানখাইয়া পাড়া মারমা উন্নয়ন সংসদের মাঠে কেন্দ্রীয় মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল সংস্কৃতির সম্প্রদায়কে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশে আলাদা আলাদা জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভংগি আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু দেশ আপনার, আমার, আমাদের সকলের। এই কষ্টার্জিত বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পাদনের ক্ষেত্রে তিনি যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন আপনারা তা ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিটি জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ এসব সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা-দীক্ষা ও কৃষ্টি সংস্কৃতির উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। 
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন একটি সোনার বাংলা বিনির্মাণের এবং এক ছাতার নিচে সকল জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় নিরাপদ ও শান্তিতে সহাবস্থান করবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ দেশের উন্নয়নে এদেশের জনপ্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি বেসরকারি সকল সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন নিশ্চিত করতে চাই।  

প্রতিমন্ত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমি বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোতে বিজু নামকরণে উৎসব প্রচার হচ্ছে দেখেছি। বৈসাবি উৎসবের ত্রিপুরাদের বৈসু ও মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের কথা মিডিয়াতে তেমন প্রচার হতে দেখি না। 

এ ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই আর ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসবের নাম বাঙালি বন্ধুরা মনে করতে পারছেন। গতকাল টিভিতে দেখলাম হেডলাইনে লিখা ‘দ্বিতীয় দিনেও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজু উৎসব চলছে’- কথাটা এখানে বৈসাবি উৎসব লিখা থাকলে আপত্তি ছিল না। এখানে একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উৎসবের নাম উল্লেখ করাটা যুক্তিযুক্ত হয়নি বলে আমি মনে করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর পরিবর্তন হওয়া উচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা বৈচিত্রের সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রয়েছে- এগুলোকে সংরক্ষণ ও যথাযথ ভাবে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই। 

এর আগে মারমা তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোর আনন্দঘন পরিবেশে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বর্ণিল শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়া হয়ে সদর উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পানখাইয়া পাড়াতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান ও বাদ্যের তালে তালে দেশ বিদেশ থেকে আগত প্রবাসী পার্বত্য নাগরিক ও বিভিন্ন ধর্মানুসারী হাজারো তরুণ-তরুণী নেচে গেয়ে সাংগ্রাই এ উৎসবকে মহিমান্বিত করে তোলে।

খাগড়াছড়ির মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা প্রসাশক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের নির্বাহী কর্মকর্তা কুষ্ণ কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,