বরিশালে ঈদের প্রধান জামাত নগরের বান্দ রোডস্থ হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পুরুষ ও মহিলারা পৃথক প্যান্ডেলে আদায় করেন।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আবহাওয়ার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে সুন্দর থাকায় ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন মুসুল্লিরা।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে সারা বিশ্বের মুসলিম জাহানসহ ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেন, এবারের ঈদ খুবই সুন্দর ভাবে মানুষ পালন করছেন। মানুষ স্বস্তিতে নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরেছে। ঈদের এ ছুটিতে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সকলকে শান্তিতে বসবাস করার আহ্বান জানান।
সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, দেশ বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা সকল কিছু ভুলে গিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আসুন আমরা সকলেই এক হয়ে সততার সাথে বরিশালকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করার মাধ্যমে ৪১ সালে স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
সিটি মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, এই সিটি কর্পোরেশনের জনগণের প্রতি আমার ভালোবাসা অব্যাহত আছে। সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমার আন্তরিকতা আছে। আমরা ইতিমধ্যে বরিশালের উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছি এর পাশাপাশি নগরবাসীর দায়ীত্ব আছে শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য সকলের কাছে ভালোবাসা চাই।
এখানে আরও নামাজ আদায় করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান রিন্টুসহ বিভিন্ন সরকার দলীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মুসল্লী।
এছাড়া, আমানতগঞ্জ ঈদগাহ ময়দান, সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফে সকাল ৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল ৮টায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসুল্লিরা।
অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও নগরীর জামে কসাই মসজিদে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে পুরুষ ও মহিলারা নামাজ আদায় করেন। জামে এবায়েদুল্লাহ ও সদর রোডস্থ জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া, নগরের মুসলিম গোরস্তান আঞ্জুমান জামে মসজিদ, পলাশপুর কাজির গোরস্তান জামে মসজিদ এবং জেলার প্রায় শতাধিক মসজিদে ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হয়।
-আইএইচ/এমএ