রোজায় পণ্যের চড়ামূল্যে অসহায় রাজশাহীর ক্রেতারা
Published : Thursday, 14 March, 2024 at 9:01 PM Count : 176
রমজানে রাজশাহীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়ামূল্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। রোজার শুরুতে দুই থেকে তিনদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। তাই পছন্দের খাবার কিনতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাজশাহীর বাজারে তিনদিনের ব্যবধানে শসা এবং লেবুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শসা বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। তিনদিন আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ২০ থেকে ২৫ টাকা হালির লেবু বেড়ে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কয়েকদিন আগেও ২০০ থেকে ২১০ টাকা ছিল। বেড়েছে সোনালি ও লেয়ার মুরগির দামও। গরুর মাংস কয়েকদিন আগে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও রোজা শুরুর পরই বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকা কেজি।
দুই সপ্তাহ আগে ছোলা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির মুড়ি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ৬০ থেকে ৭০ টাকার বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।
অন্যদিকে, খুচরা বাজারে বেড়েছে ফলের দাম। মহানগরীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, আঙুর, আপেল, বেদানা, কমলা প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এতে ফলের ধারে-কাছেও যেতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতা। গরিবের ফলখ্যাত পেঁপে সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। গাজর এবং তরমুজের দামও নিুবিত্তের নাগালের বাইরে।
সাহেববাজারে ফল কিনতে গিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার চিত্র তুলে ধরে নাইম হোসেন বলেন, প্রতিবছর ইফতারিতে ফল রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এবার প্রতিটি ফলের দাম কেজিতে গত সপ্তাহের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। আঙুর ২৪০ থেকে ৩৩০ টাকা হয়েছে। কমলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। তরমুজ ১০০ টাকা কেজি। কয়েকদিন আগে ছিল ৭০ টাকা। আপেল কেজি ২৬০ থেকে বেড়ে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খেজুরের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয় গলা বা বাংলা খেজুর। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এটি গত বছর রমজানে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ছিল। জাহিদি খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। এটি ছিল ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি দাবাস খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। গত রমজানে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। এই তিন ধরনের খেজুরের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। বরই খেজুরের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫৪০ টাকায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহীর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জরিমানাও করা হচ্ছে। কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং অবৈধ মজুত গড়ে পণ্য সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএ/এমবি