যেভাবে খুন করা হয় আ.লীগ নেতার ছেলেকে
Published : Wednesday, 13 March, 2024 at 5:34 PM Count : 146
গাইবান্ধার সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ আকন্দের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী শাহিন মিয়া গংদের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। এরই জেরে তার ছেলে শফিকুর রহমান পাভেল (৩৭) কে আসামিরা সুকৌশলে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে।
বুধবার (১৩ মার্চ) গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান।
এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যার পর পাভেলকে আসামিদের বসতবাড়িতে হত্যা করে তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর গোপনে রাখে। এ ঘটনায় পাভেলের ভাই বেলাল আকন্দ ইউসুফ বাদি হয়ে নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তার বাড়ির পাশে সবুজ মিয়ার দোকানের সামনে থেকে পাভেল নিখোঁজ হয়েছে বলে ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।
এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিখোঁজ পাভেলের মোবাইল ফোনের শেষ কথোপকথোনের স্থান সনাক্ত করেন এবং তার সঙ্গে পূর্বের ফোনালাপের ব্যক্তিদের সন্দেহের আওতায় রেখে তাদের গতিবিধি অনুসরণ করে রঘুনাথপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবি (৪৪), সুজন মিয়া (৩৬) ও অমেলা বেগম (৪২) কে গ্রেফতার করা হয়। এই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পাভেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনাটি বিস্তারিত ও অপরাপর অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে। তারপর শফিকুর রহমান পাভেলের মরদেহ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ওই ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত ইবনে মিজান বলেন, হত্যার শিকার পাভেলের মরদেহ উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা জব্দ করা হয়েছে।
টিএইচজে/ এসআর