ধর্ষণ মামলায় যুব সংহতি নেতা গ্রেপ্তার
Published : Wednesday, 13 March, 2024 at 12:06 PM Count : 194
পটুয়াখালীর দুমকিতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি যুব সংহতি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুমকি থেকে পটুয়াখালী প্রবেশের পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. অলিউল্লাহ হাওলাদার (৩৫) দুমকি উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমান এমপি এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বডিগার্ড হিসেবে কর্মরত।
র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা জানান, গত ০৭ মার্চ পটুয়াখালী থানায় মামলা গ্রহণের পর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা শুরু করে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ জব্দ করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি অলিউল্লাহ হাওলাদারকে হস্তান্তরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। মামলার অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলমান রয়েছে। গত ০৩ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী নারী গত ০৬ মার্চ পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিটিশন মামলা হিসাবে নিবন্ধন করাসহ পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়মিত মামলা গ্রহণ এবং তদন্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী। ১৫ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সন্তানদের লালন পালন করে বড় ছেলে ও মেয়েকে বিবাহ দেন। ছোট ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করে। তিনি একা স্বামীর বসতভিটায় বসবাস করেন। অলিউল্লাহ হাওলাদারের বাড়ি তার বাড়ির পাশাপাশি হওয়ায় তিনি প্রায়ই ভুক্তভোগীর বাড়ি যাওয়া-আসা করত এবং বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। ৬ মাস পূর্বে অলিউল্লাহ হাওলাদার ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তা ভিডিও করে। পরবর্তিতে ভুক্তভোগীকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করলে গোপন ভিডিও ফাস করে দেয়ার হুমকি দেয়। গত ০৩ মার্চ রোববার অলিউল্লাহ হাওলাদার ২ ও ৩ নং আসামি মো. মামুন হাওলাদার (৪০) ও মো. বেল্লাল হাওলাদারের মাধ্যমে বিয়ের কথা বলে ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী পৌরসভার শান্তিবাগ এলাকার মেহেদী ভিলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিয়ে না করে হত্যা ও পূর্বের ধারণকৃত পর্নোগ্রাফী ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ফের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সেখানে ভুক্তভোগীকে একদিন আটকে রাখে।
পরবর্তিতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ (পমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর থানায় মামলা না নেয়ায় ভুক্তভোগী পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
-এমপি/এমএ