আগুনে পুড়ে গেল ২৬ দোকান
Published : Tuesday, 12 March, 2024 at 1:37 PM Count : 998
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামগতি বাজারে ও জয়নাল মিয়ার তেমুহনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মালামালসহ ২৬টি দোকান পুড়ে গেছে।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার জয়নাল মিয়ার তেমুহনিতে এবং এর আগে রামগতি বাজারের কলেজ রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দুই স্থানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জয়নাল মিয়ার তেমুহনিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত হওয়াতে স্থানীয় লোকজন ঘুমের মধ্যে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে রামগতি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আসার আগেই সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
এতে বাজারের প্রায় ২৬টি দোকানের মালামালসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ওষুধের দোকান, কসমেটিক দোকান, মুদি দোকান, চায়ের দোকান, খাদ্যের দোকান।
এর আগে সোমবার দুপুর ২টার দিকে রামগতি বাজারের কলেজ রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়টি দোকান পুড়ে যায়। এগুলোর মধ্যে ওষুধের দোকান, ডেন্টাল কেয়ার, কসমেটিক দোকান, মোটরসাইকেল মেরামতের দোকান, ডাক্তারের চেম্বার ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত নাহার ফার্মেসীর মালিক শরীফুল ইসলাম নোমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি সর্বহারা হয়ে গেছি। আমার আর কিছুই রইল না। পরিবারের একমাত্র রুজির প্রধান উৎস দোকানটাই এখন ছাই হয়ে গেছে। আগুন লেগে ভস্মিভূত হয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মালামালসহ আমার দোকান ছাই হয়ে গেছে। অন্যদিকে এনজিও’র লোনের টাকা নিয়ে দুঃচিন্তার মধ্যে আছি।
রামগতি বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, রামগতি ফায়ার সার্ভিস উপজেলা সদর থেকে ৩ কি. মি. দূরে। সেখান থেকে রামগতি বাজারের দূরত্ব প্রায় ২৬ কি. মি.। দূরত্বের কারণে মূলত সময়মত ফায়ার সার্ভিসের সেবা পাচ্ছেন না এ অঞ্চলের লোকজন। রামগতি ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে সব শেষ হয়ে যায়। এর আগেও দুই দুই বার বাজারে আগুন লাগলে কোনো কাজে আসেনি ফায়ার সার্ভিস।
রামগতি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) খোকন মজুমদার বলেন, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। রামগতি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রামগতি বাজার এলাকায় দূরত্বের কারণে সময়মত পৌঁছানো মুসকিল হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে সহায়তা প্রদান করা হবে।
-এমএ
