আসল পুলিশের হাতে নকল পুলিশ আটক
Published : Sunday, 3 March, 2024 at 11:10 AM Count : 183
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক নকল পুলিশ সুপারের (এসপি) জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
আটককৃত মো. রাছেল পাটোয়ারী (২৮) সদর উপজেলার চর বাকিলা গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার নকল এই পুলিশ সুপারকে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে আটক করে আসল পুলিশের হাতে তুলে দেয় ব্যবসায়ীরা। এ সময় তার নিকট থেকে দুটি চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।
রাছেল পাটোয়ারী নিজেকে মুঠোফোনে ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজেকে এসপি (পুলিশ সুপার) সহ পুলিশের বিভিন্ন পদধারী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে চুরিসহ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান বিভিন্ন জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত সপ্তাহে হাজীগঞ্জ থানা রোডস্থ হৃদয়ের সেলুনে দাড়ি-গোঁফ কাটতে এসে নিজেকে পুলিশের এসপি পরিচয় দেয় রাছেল পাটোয়ারী। ওই সময় সেলুন কর্মীদের ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে সে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে সটকে পড়ে এবং ওই মোবাইল মসজিদ মার্কেটের একটি দোকানে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করে দেয়।
এ ঘটনার পর থেকে রাছেল পাটোয়ারীকে ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিতে থাকে সেলুন মালিক হৃদয়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাছেল পাটেয়ারী হাজীগঞ্জ বাজারের থানা রোডস্থ এলাকায় আসলে হৃদয় বিষয়টি জানতে পারে এবং পরে লোকজন নিয়ে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাছেল পাটোয়ারীকে আটক করে। সে সময় তার কাছ থেকে দুটি চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পরে পুলিশের কাছে রাছেল পাটোয়ারী জানায়, সে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে এসপিসহ পুলিশের বিভিন্ন পদধারী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রশিদ সংবাদ কর্মীদের জানান, রাছেল পাটোয়ারী পুলিশের বিভিন্ন পদবি এবং বিকাশের কর্মকর্তা পরিচয় ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ভুয়া এসপি পরিচয়ে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
এ বিষয়ে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য তার পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত কেনাকাটা করেন না। এছাড়া বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অফিস থেকে কখনো গ্রাহকের পরিচয় ও পাসওয়ার্ড জানতে চায় না। যারা জানতে চায়, তারা প্রতারক।
-এইচইউ/এমএ