ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডে স্ত্রী সন্তানসহ প্রাণ হারালো উখিয়ার শাহজালাল
Published : Saturday, 2 March, 2024 at 5:09 PM Count : 149
রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিনফ কোজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে প্রাণ হারালো স্ত্রী সন্তানসহ উখিয়ার শাহজালাল। শুক্রবার নিহতের মরদেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার।
নিহতরা হলেন ,কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের মেঝ ছেলে কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহ জালাল উদ্দিন (৩৫), তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী (২৪) এবং তাদের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিলা (০৪)।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরুনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন হেলালী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে গিয়ে মেয়ে, জামাতা ও নাতনির পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করে।
নিহতের বড় ভাই উখিয়ায় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজান সাজু মর্মাহত ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সকালে টাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ হতে লাশ গ্রহণ করে মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
রামুর বাসিন্দা ও নিহতের শ্বশুর মোক্তার হোসেন হেলালী বলেন, ‘আমার মেয়ের জামাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোর্টে কাস্টম ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিল। দুদিনের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য সে ঢাকায় আসে এবং গ্রিন লাইন বাসের টিকিটও কাটে। ঢাকায় আসার পর পুরো ফ্যামিলি নিয়ে কাচ্চি বাড়ি রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এরপর তারা আর ফিরে আসেনি। কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাস্টমস কোয়াটারে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া তিনজনের মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগুনের ঘটনায় একই পরিবারের নারী-শিশুসহ তিনজন মারা গেছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। আজ শনিবার তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, বেইলি রোডের আগুনে নিহতদের মধ্যে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৪০জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নারী-শিশুসহ আরও বেশ কয়েকজনের মরদেহ মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে ওই ভবনটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলা ভবনের সব ফ্লোরে।
এফএ/এমবি