রাবিতে ক্যানটিনে খেয়ে টাকা দেন না ছাত্রলীগ নেতা, বাকি ২৫ হাজার
Published : Monday, 19 February, 2024 at 9:07 PM Count : 111
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে ক্যানটিনে ২৫ হাজার টাকা বাকি ও ফ্রি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হলের ক্যানটিন মালিক মো. আলতাফ হোসেন ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রলীগ নেতা ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করেন বলে জানিয়েছেন ক্যানটিন মালিক।
ভুক্তভোগী মো. আলতাফ হোসেন হবিবুর রহমান হল ক্যানটিনটি ২০০৮ সাল থেকে পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, মিনহাজ হলে ওঠার পর থেকে আমার ক্যানটিনে বাকি খাচ্ছে। তাঁর নামে প্রায় ২০-২৫ হাজার বাকি পড়ে গেছে। বারবার বলার পরেও মিনহাজ টাকা পরিশোধ করেননি। এরপর থেকে ক্যানটিনে খাবার খেলে বাকির খাতায় আর লিখতেন না।
সমঝোতার বিষয়ে ক্যানটিন মালিক বলেন, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর গত শনিবার বিকেলে অভিযুক্তসহ কয়েকজন আমাকে ডেকে নিয়ে বাকির পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন। এই টাকা দিয়ে তিনি মিটমাট (সমঝোতা) করে নিতে বলেন।
অভিযুক্ত মিনহাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর পক্ষ থেকে ওই হল দেখভালের দায়িত্ব পালন (দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা) করছেন তিনি।
তবে ক্যানটিনে এতো টাকা বাকি নেই উল্লেখ করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমার নামে ক্যানটিনে তিন-চার শ টাকা বাকি থাকতে পারে। বাকি খাচ্ছি আবার মাঝে মাঝে টাকা পরিশোধও করছি। তবে একজন প্রতিবন্ধী ও একজন গরিব শিক্ষার্থীকে বিনা টাকায় খাবার খাওয়ানোর জন্য সুপারিশ করেছি। এটিই হয়তো তিনি বাকির খাতায় লিখে রেখেছেন।’
তবে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে সমঝোতার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেইনি। তারপরেও যেহেতু ছাত্রলীগের নাম আসছে এ কারণে আমি বিষয়টি খোজ-খবর নিয়ে দেখব।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, বেশকিছুদিন আগে ডাইনিং ও ক্যানটিনের কর্মচারীরা এ বিষয়ে আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। পরে অভিযুক্তদের ডেকে এনে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করেছিল। ডাইনিং ও ক্যানটিন কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি, যেন তাদেরকে বাকি ও বিনা টাকায় না খাওয়ায়।
আরএইচএফ/এসআর