রঙিন বাঁধাকপি চাষে দ্বিগুণ লাভের আশা কৃষকদের
Published : Saturday, 17 February, 2024 at 11:19 AM Count : 217
রাজবাড়ী সদর উপজেলার উড়াকান্দা এলাকার পদ্মা পাড়ে রঙিন বাঁধা কপি চাষে দ্বিগুণের বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষক সুজাত শেখ।
শীতের অন্যতম পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এই বাঁধা কপি বাঙালির অত্যন্ত প্রিয়। দ্বিতীয় বারের তিনি ও তার ভাই চাষ করেছেন এই বাধাকপি। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় এর চাহিদা ও রয়েছে অনেক।
শুক্রবার পদ্মা পাড়ের এই অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় কৃষক সুজাত শেখ বিশ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন এই বাঁধা কপি এবং তার ভাই আধা বিঘা জমিতে চাষ করেছেন এই রঙিন বাঁধা কপি। দেখতে চমৎকার এই বাধা কপি চাষে খরচ ও কম বলে জানাযায়। তাছাড়া পুষ্টিগুনও বেশি। এছাড়া সাধারণ বাধা কপির চেয়ে কেজিতে দশ/ বারো টাকা করে বেশি রঙিন বাধাকপিতে।
তিনি আরও বলেন, ২০ শতক জমিতে তিনি রঙিয়ে জাতের ২৪০০ বাঁধাকপির চারা লাগিয়েছেন। জমিতে জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক সার ব্যবহার করেছেন। এই বাঁধাকপিগুলো ৮০-৯০ দিনের মধ্যে পরিপক্ত হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। এ কপি দেখতে যেমন রঙিন,সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়। তিনি এ যাবৎ পাঁচ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন, আরো কয়েক হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো। তিনি আরো বলেন,আমার দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও লাল বাঁধাকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষক সুজাত শেখ বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে চাষ করেছি। গাছে- পাতে বেশ বড় ও সতেজ হয়েছে। প্রতি পিস কপি ২৫- ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন সবজি, এ রঙিন ফুলকপির ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসছে এবং দাম ও বাজারে চাহিদার জন্য অনেকে আগামী বছর চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমার মোট খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। আশা করি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জনি খান ডেইলি অবজারভার কে বলেন , নতুন শুরু হওয়া এই সবজি চাষ শুরু হয়েছে সম্প্রতি।এই বাঁধা কপি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ।
এটিতে রঙিন ও সবুজ শাকসবজির তুলনায় ভিটামিন ও আয়রন বেশি থাকে, চর্বি নেই,পাশাপাশি আলসার ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। ফলে এটি খাওয়া মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।এ বছরে অল্প আাবাদ হলেও, চাহিদা ও লাভের পরিমাণ দেখে কৃষকদের আগ্রহ অনুযায়ী আগামী বছর চাষের পরিমাণ অনেক বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
এসআই/এমবি