কুড়িগ্রামে যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩
Published : Thursday, 15 February, 2024 at 10:58 PM Count : 891
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন ও তাদের সহায়তাকারী একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে পৌরসভার সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহালমের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ঐ যুবতীকে।
যুবতীর পরিবার জানায়, বুধবার বিকাল তিনটার দিকে সে তার মায়ের সাথে অভিমান করে নিজ বাড়ী পৌরসভার বাশেরতল জামতলা থেকে বের হয়। রওনা দেয় খালার বাড়ি বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তাইয়ের পাড় গ্রামের উদ্দেশ্যে। পথে নাগেশ্বরীর ভাইভাই মোড়ে পূর্ব পরিচিত মালভাঙ্গা গ্রামের মৃত নুরুন্নবী মিয়ার ছেলে খোকা মিয়ার সাথে দেখা হয়। এসময় সে তাকে মোটরসাইকেলে পৌছে দেয়ার কথা বলে তার প্রতিবেশী মৃত আইনউল্লার ছেলে মূসা মিয়াকে ডেকে আনে।
মূসার মোটরসাইকেলে যুবতীকে তারা খালার বাড়ীতে পৌঁছে না দিয়ে নিয়ে যায় পৌরসভার সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহালমের বাড়িতে। সেখানেই শাহালম ও তার স্ত্রী খুশি বেগমের সহায়তায় খোকা ও মুসা যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় তারা ধর্ষিতা যুবতীকে ঐ দম্পত্তির কাছে রেখে চলে যায়। এরপর শাহালমের স্ত্রী খুশি বেগম তাকে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখে। অনেক খোঁজাখুজি করে লোকজনের সহয়তায় শাহালমের বাড়ি হতে রাত ৮ টার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করে তার বাবা।
রাতেই ধর্ষিতার বাবা নাগেশ্বরী থানায় খোকা, মূসা, শাহালম ও শাহলমের স্ত্রী খুশি বেগমের নামে অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ধর্ষণের সাথে জড়িত খোকা, মূসা ও সহয়তাকারী খুশি বেগমকে গ্রেফতার করে। পালিয়ে যায় খুশি বেগমের স্বামী শাহালম।
যুবতীর বাবা জানান, খোকা ও মূসা সম্পর্কে আমার মেয়ের চাচা হয়। তাই সে তাদের মোটরসাইকেলে উঠেছে। তার এ সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা দুজন আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি মামলা করেছি। এর উপযুক্ত বিচার চাই।
নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) সারওয়ার পারভেজ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেএস/এমবি