আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাউকে পেছনে নয়, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবো। ১৫৫৩ মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাই প্রমাণ করে যে নারী জাগরণ ঘটেছে। তারাও এগিয়ে এসেছেন। তবে এত প্রার্থীর মধ্য থেকে ৪৮ জনকে বেছে নেওয়া কঠিন কাজ। আপনাদের দিলেও তা আপনারা করতে পারবেন কি?
বুধবার গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মেয়েরা সাফ্যলের সঙ্গে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করে। পড়াশোনায় নারী আজ এগিয়ে। কর্মক্ষেত্রেও সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। বিভিন্ন পেশায় ভালো করছে। নানা বাধা পেরিয়ে মেয়েরা আজ খেলাধুলার মাঠে আসছে। এখানেও এগিয়েছে তারা। এখন মেয়েরা অনেক পদক আনছে।
তিনি বলেন, মেয়েরা খেলতে পারবে না, ব্যবসা করবে না- ইসলাম ধর্মেও এমন বলা নেই। প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে একজন নারী, কোনো পুরুষ নয়। সাহস করে বিবি খাদিজা এগিয়ে এসেছেন। তিনি ব্যবসা করতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরে আমি পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। সেই কবরের মাটি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না। আমার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছিল, এখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে।
তিনি বলেন, এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল জনসভায় আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেভাবে আমার বাবা তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যেভাবে আমার মা, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, আমিও আমার বুকের রক্ত ঢেলে দেবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমার চলার পথ, প্রতি পদে পদে বাধা। এখনো মনে পড়ে সেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আমাদের কত জন জীবন দিয়েছে। কত রকম অত্যাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেই, সংগ্রাম করে আমরা ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোনো জায়গা থেকেই আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের একমাত্র শক্তি মানুষের সমর্থন। মানুষের ভালোবাসাই হলো আমাদের প্রেরণা।
গণভবন মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
-এমএ