সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
Published : Thursday, 8 February, 2024 at 6:17 PM Count : 230
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো.হারুন (৪২) চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। হারুন এ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং আসামি। ঘটনার পর সে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়।
এমনকি যশোর সীমান্ত দিয়ে একবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পর থেকে পুলিশ তার গতিবিধি নজরে রাখে। এনিয়ে এ মামলার তিন আসামি সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপরদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে বুধবার আদালতে উপস্থাপন করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানী শেষে আদেশ দেওয়া হবে। মামলার অপর আসমি মেহরাজ উদ্দিন (৪৮) অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এ সময় আসামি মেহরাজ জানিয়েছেন, এ মামলার অপর দুই আসামি আবুল খায়ের মুন্সী ও মো: হারুনের প্রস্তাবে রাজি হয়। এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীর অনুপস্থিতে চুরি করার উদ্দেশ্যে তার বসতঘরে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে।
এরপর সে ঘরের দরজা খুলে দিলে মুন্সি মেম্বার ও হারুন ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে মুন্সি মেম্বার ও হারুন দুজন মিলে পালাক্রমে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় মেহরাজ পাশের কক্ষে থাকা ওই নারীর ১২ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। পরে স্বর্নালংকার ও টাকা নিয়ে তিনজন ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে সিঁদ কেটে এক গৃহবধূ ও তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আবুল খায়ের মুন্সী ও মো.হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ, পরস্পর সহযোগীতায় গণধর্ষণ, ধর্ষণ, ভয়ভীতি প্রদর্শণের অপরাধে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহর থেকে আবুল খায়ের মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার রাতে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরাজ একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।
এমআর/এমবি