পঞ্চগড়ে বাংলা ভাষা ইশারা দিবস পালিত
Published : Wednesday, 7 February, 2024 at 3:17 PM Count : 286
‘বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার পঞ্চগড়ে পালিত হয়েছে বাংলা ভাষা ইশারা দিবস।
এ উপলক্ষে সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিয়াজউদ্দিন।
তিনি বলেন, ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা বা প্রতীকী ভাষা বলতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত ও বাহু নড়ানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে বোঝায়। কম করে হলেও দেশে ইশারা ভাষা ব্যবহার শুরু হয়েছে, কিন্তু তার কোনো মানদণ্ড নেই। বেসরকারি ভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে কাজ করছে। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ০৭ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার, শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে গ্রন্থমেলায় ইশারা ভাষাকে অন্যতম ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায় বলেন, ১৯৯৪ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বধির সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ইশারা ভাষার অভিধান প্রকাশ করা হয়। দেশে আটটি সরকারি বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে, যাতে ইশারা ভাষায় পড়ানো হয়। জেলায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর সংখ্যা দুই হাজার ১১১ জন।
সভায় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার রায়, দেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক জহিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম সারোয়ার হোসেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিসহ বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন প্রধান বক্তব্য দেন।
-এসআই/এমএ