মান্দায় অবাধে চলছে পাখি শিকার
Published : Saturday, 27 January, 2024 at 5:09 PM Count : 286
নওগাঁর মান্দায় কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে চলছে শতশত পাখি শিকার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রতিদিন নির্মমতার বলি হচ্ছে মানুষের খাদ্যশৃঙ্খল, পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী দেশি প্রজাতির নানান পাখি। অবাধে পাখি শিকার চললেও প্রশাসনের নেই কোন তদারকি।
জানা যায়, উপজেলা বিষ্ণপুর ইউনিয়ন এলাকার মধু সাইদুর, আকাশ, আফজালসহ আরো অনেক অসাধু ব্যক্তিরা এই পাখি শিকারের সঙ্গে জড়িত।
ওই অসাধু ব্যক্তিদের এসব জালে ঘুঘু, শালিক, গো-শালিক, টিয়া, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী পাখি আটকা পড়ছে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০টি পাখি শিকার করে গোপনে বিক্রি করছে তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিষ্ণপুর ঘাগড়া বিলাসহ বিভিন্ন বিলের মাঠে বড় বাঁশের সাথে উচুঁ করে বিভিন্ন স্থানে কারেন্ট জাল পেতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও কশব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিলের মাঠে এসব জাল দিয়ে পাখি শিকার করা হচ্ছ। এ সময় প্রতিবেদকদের দেখে দুইজন শিকারী দ্রুত পালিয়ে যায়।
এলাকার সচেতন মহলের বক্তব্য, এসব পাখি শিকারে এক শ্রেণির অসাধু লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাখি শিকারের ফলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। পাখি শিকার বন্ধে প্রশাসনকে ভূমিকা নিতে হবে।
এ ব্যপারে বিষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আজম বলেন, জাল দিয়ে যে লোক গুলো পাখি শিকার করছে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে আমি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ পাখি শিকার করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, পাখি শিকার করা একটি অপরাধ। ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমরা ওই এলাকায় পাখি শিকারের বিষয় জেনেছি। চেষ্টা চলছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য।##
এসএ/এমবি