পঞ্চগড়ে ৩ দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ, থমকে গেছে জনজীবন
Published : Thursday, 25 January, 2024 at 12:14 PM Count : 160
পঞ্চগড়ে অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে থমকে গেছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলার জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার একই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৩ জানুয়ারি থেকেই এ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে ২৩ জানুয়ারি ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ডে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও বুধবারসহ আজ দুই দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের মতো ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেশের এই উত্তরের জেলা। কুয়াশার সঙ্গে শিশির ও হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষকে শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই দিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে তিন দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।
চিকিৎকরা জানান, শীতে হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরও বাড়বে। শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ সর্দি, কাশিতে যত্ন না হলে জটিলতা বাড়তে পারে। শীতে শিশুদের সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। একইসঙ্গে চর্মরোগ ও ডায়রিয়ার মতো রোগও বাড়ছে। শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
জেলার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
-এসকে/এমএ