ভুগর্ভস্থ বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বাঁধ-ফসলি জমি
Published : Monday, 22 January, 2024 at 4:09 PM Count : 114
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়াতে নিষিদ্ধ বরিং ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভুগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সুইচগেটসহ ফসলি জমি। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে যেকোন সময় এ স্থানটি ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে ওই এলাকার শতাধিক বাড়িঘর।
গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠি-কাতলামারী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাঙ্গাপাড়া এলাকায় সুইচগেট সংলগ্ন এলাকায় দিনভর একটি খাল থেকে বরিং ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে।
এখানে প্রায় দেড় হাজার ফুট দূরের একটি পুকুর ভরাট করাসহ ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে। পাশবর্তী ভাঙ্গামোড় গ্রামের মৃত চারু মিয়া ছেলে প্রভাবশালী রুহুল আমীন দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক বালু তুলছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আত্মঘাতী এই ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, খাল থেকে বালু তোলার কারনে খালের আশপাশের সমস্ত জমি ধসে যাচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ সুইচগেটটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করলেও রুহুল আমীন আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালু উত্তোলনকারী রুহুল আমীন জানান, যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে সেই জমির মালিক তারা। তাদের জমি থেকেই তারা বালু তুলে পুকুর ভরাট করছেন।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান বলেন, বরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে কম্পন সৃষ্টি করে বালু তোলার ফলে মাটির তলদেশে ফাঁকা হয়ে যায়। এতে বড় ধরনের ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দেবে। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এসব ড্রেজার দ্রুত বন্ধ করা উচিত।
ফুলছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিম বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আপনে নাম-ঠিকানা দেন অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিএইচজে/এসআর