তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
Published : Sunday, 21 January, 2024 at 12:04 PM Count : 147
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় লাগাতার শীতে বেড়েছে যেমন দুর্ভোগ, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। কমে যাওয়া কামাই-রোজগারে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। দারিদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনযাপন করতে হচ্ছে অনেকের। এর সঙ্গে রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না তারা।
রোববার সকাল ৯টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগের দিন শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। শৈত্যপ্রবাহের পর দুই দিন তাপমাত্রা বাড়লেও লাগাতার শীতে বেসামাল পরিস্থিতি পোহাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার আবরণে এ সীমান্ত জনপদ। বাতাসে ঝরছে হিমশীতল শিশির। শীতের কারণে চরম বিপাকে সময় পার করছে শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।
কুয়াশার কারণে সময়মতো কাজে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেছে আয়। অভাব-অনটনে দিন কাটছে অনেক পরিবারের। প্রয়োজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
সত্তোর্ধ্ব বয়সী সলিম উদ্দিন জানান, খুব জার বাপু। বয়স হয়েছে, এ রকম শীত পড়ছে। জারে হাত-পা কোকরা হয়ে আসে। শীতের কাপড় পেলে ভালো হতো।
পাথর শ্রমিক জুয়েল, আরিস ও কামাল জানান, টানা শীতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা। জীবিকার তাগিদে পরিবারের কথা চিন্তা করে শীত উপেক্ষা করেই দিনভর নদীতে বরফগলা পানিতে পাথর তুলতে হচ্ছে তার। জীবিকার অন্য কোনো পথ না থাকায় ঠান্ডা পানিতে কাজ করে পরিবারের খাবারের জোগান দিচ্ছেন তারা।
তেঁতুলিয়ার সর্দারপাড়ায় পাথর শ্রমিকের কাজ করেন কদবানু, আফরোজাসহ কয়েকজন। তারা জানান, শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে দেরি হলে সহজে কাজে নিতে চায় না মহাজনরা। আর নদীতে পাথর উঠছে কম। তাই কাজও কম। কাজ না করলে পরিবার চলে না। তাই এই ঠান্ডার মধ্যে বেরিয়েছেন কাজের জন্য।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, শৈত্যপ্রবাহের দুই দিন পর ১০ ডিগ্রিতে উঠেছে তাপমাত্রা। রোববার সকাল ৯টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। গতকাল বেলা ১১টার সময় সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছিল। তবে সূর্যের সামান্য তাপেও ঠান্ডা কমেনি।
-এসকে/এমএ