ঈশ্বরদীতে নিপাহ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু
Published : Thursday, 18 January, 2024 at 6:26 PM Count : 178
পাবনার ঈশ্বরদীতে নিপাহ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মো. রবিউল ইসলাম খোকন মালিথা (৫৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত খোকন মালিথা ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের প্রতিরাজপুর গ্রামের প্রয়াত রুস্তম আলী মালিথার ছেলে। রুস্তম মালিথা মুলাডুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বাড়ির পাশে স্থানীয় একটি খেজুরের বাগান থেকে খেজুরের রস খেয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনা হয়। এরপর তার জ্বর না কমলে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মুরাদ আলী মালিথা জানান, নিপা ভাইরাস জ্বরে মৃত্যুর পর মরদেহ ঢাকা থেকে আনা হয় এবং বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পতিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিহতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ও নিহত ব্যক্তির চাচা ইছাহক আলী মালিথা বলেন, খেজুরের রস খেয়ে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর খোকন মারা গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে কেউ কাঁচা খেজুরের রস পান না করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আসমা বলেন, সে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি জানার পর তার বাড়িতে গিয়ে ও এলাকাবাসীসহ সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পাবনার সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল টিমের রিপোর্ট ঢাকায় পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, গতমাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় খেজুরের রস না খাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও খুজুরের রস না খাওয়ার জন্য মাইকিং, লিফলেটসহ সতর্ককরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কেএমএইচ/এসআর