হিমেল শিশিরে হাড় কাঁপানো শীত তেঁতুলিয়ায়
Published : Tuesday, 16 January, 2024 at 11:47 AM Count : 168
লাগাতার তীব্র শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ থেকে কৃষক ও গৃহপালিত জীবজন্তুরা। তাপমাত্রা উঠানামা ও টানা ঘন কুয়াশার কারণে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে মানুষের নানা শীতজনিত রোগ ও কৃষি ফসলের।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণীর তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই মেঘ-কুয়াশায় আবৃত এ জেলা। বৃষ্টির মতো ঝরছে হিমেল শিশির। হিমেল বাতাসে ঝরাচ্ছে শীতের ঝঞ্জা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে শহরের মানুষজন বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলো শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন।
শীতের কারণে কৃষি আবাদে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। জনজীবনের দূর্ভোগের সঙ্গে চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষিরা। তীব্র শীতের কারণে ক্ষেতের আলুতে ছত্রাকের আক্রমণ বেড়েছে। পাতা কুকড়ে যাচ্ছে। অতিমাত্রায় শীতের কারণে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চাষিরা বলছেন, সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে ২-১ দিন অন্তর অন্তর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে, শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকেলে সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।
-এসকে/এমএ