For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

হাড় কাঁপানো শীতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা রাবি ক্যাম্পাস

Published : Saturday, 13 January, 2024 at 9:02 PM Count : 138


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ঘন কুয়াশাই আচ্ছন্ন। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র। গতকাল শনিবার সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এতোদিন শীত অনুভূত হলেও তীব্র কুয়াশার দেখা মেলেনি। তবে গত কয়েকদিন থেকে তীব্র কুয়াশা পড়তে দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে। সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে আগের থেকে অনেক বেশি। ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে কাঠ-খড়ি পুড়িয়ে আগুনের উষ্ণতা নিচ্ছে।

সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, প্যারিস রোড, বুদ্ধিজীবী চত্বর, আমতলাসহ পুরো ক্যাম্পাস তীব্র কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। তীব্র কুয়াশায় এক আবাসিক হল থেকে অন্য আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবন থেকে অন্য একাডেমিক ভবন দেখা যাচ্ছে না। কিছু দূর গেলেই কোনো মানুষকেও চোখে পড়ছে না। গাছের পাতায় ও ঘাসের ডগায় শিশির জমে আছে।
এদিকে, বিকেল হতেই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় কাঠ-খড়ি পুড়িয়ে শীত নিবারণের পাশাপাশি গানের আসর বসান শিক্ষার্থীরা। শীত আগমনীতে ক্যাম্পাসের রঙ-বেরঙের ফুল যেন সবার মন কাড়ে। গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, অ্যাস্টার, সিলভিয়া, জিনিয়া, গাঁদাসহ নানান প্রজাতির ফুলের সৌরভে মুখরিত হয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলের প্রতিটি অঙ্গন।

আবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই বাহারি পিঠায় জমে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি। শীতের এই পিঠার স্বাদ নিতে সারাক্ষণ দোকানগুলোতে ভিড় করে থাকেন শিক্ষার্থীরা। কেউবা দাঁড়িয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তখন পরিবার ছেড়ে শত শত মাইল দূরের ক্যাম্পাসই যেন হয়ে ওঠে আরেকটা পরিবার। তবে প্রচণ্ড শীতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।

সকালে তীব্র কুয়াশার মাঝেও হাঁটতে বের হয়েছেন রাকিব হাসান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, রাজশাহীতে গত কয়েকদিনে শীতের মাত্রা বেড়েছে। বুধবার রাত থেকে বেশি শীত পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া ঘুমানো সম্ভব হয়নি। কিছু দূরত্বেই কাউকে দেখা যাচ্ছে না। যাত্রীবাহী গাড়িগুলো যেন আস্তে ধীরে গাড়ি চালায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ক্যাম্পাসের রিকশাচালক মইনুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে বিগত দিনের তুলনায় বেশি শীত এবং কুয়াশা হওয়ায় বাইরে মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমরা যাত্রী পাচ্ছি না। বাইরে অনেক শীত পড়েছে তাই গরম কাপড় পরে বের হয়েছি।

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক কর্মচারী জানান, শীত অনেকের কাছে উপভোগের হলেও অনেকের কাছে কষ্টের। আমি প্রতিদিন রাতে ডিউটি করি। অন্যদিনের তুলনায় আজ ঠান্ডা পড়েছে বেশি এবং কুয়াশায় কাউকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজশাহীতে শীতের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।


এফএ/এমবি

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,