কালকিনিতে বোমা হামলা: তিনদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ১
Published : Friday, 12 January, 2024 at 11:08 AM Count : 152
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন নিহত হয়েছে।
বোমা হামলার ঘটনা ঘটে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের ফাসিয়াতলা বাজারে। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবী করেছেন নিহতের পরিবার।
সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ড.আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে পরাজিত করে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম।
সোমবার সকালে তাহমিনার সমর্থক আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কালিগঞ্জ থেকে ফাসিয়াতলা বাজারের যাবার পথে মিছিলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে। এতে আহত হয় অন্তত ১০ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত হয় এমারাত সরদার নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে মারা যায় এমারাত। নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবী করেছেন নিহতের পরিবার।
নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, আমার স্বামীকে বিজয় মিছিলে বোমা মেরে গুরুতর জখম করে। পরে বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
নিহতের ছেলে অহিদ সরদার বলেন, আমার বাবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ছিলো। নির্বাচনের পরের দিন বিজয় মিছিলে শাহিদ পারভেজ চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাবার উপর বোমা নিক্ষেপ করে। পরে আমার বাবা ঢাকাতে মারা গেছে। আমি হত্যাকারিদের বিচার চাই।
প্রাইম জেনারেল হসপিটালের সিইও ডা.গোলাম মস্তফা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের হাসপাতালের তাকে বেশকিছু চিকিৎসা দেই। তবে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যায়।
মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার কর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। আমি দোষিদের গ্রেফতার ও বিচার চাই।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম নিহতের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
এএইচএস/এসআর