সেনাবাহিনীর কম্বল পেয়ে খুশি রাজশাহীর শীতার্ত অসহায় মানুষ
Published : Tuesday, 9 January, 2024 at 7:04 PM Count : 175
রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর শীতার্ত মানুষের। এসব মানুষের নিদারুণ কষ্টের কথা চিন্তা করে শীতের উপহার নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের অধিনস্থ সদর দপ্তর ৯৩ সাঁজোয়া ব্রিগেডের ব্যবস্থাপনায় ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড) এর আয়োজনে ৪০০ (চারশত) দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলার পুঠিয়ার লস্করপুর ডিগ্রী মহাবিদ্যানিকেতন মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৩ সাঁজোয়া ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মহসিন রেজা, ওএসপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজ্ড) এর অধিনায়ক লে: কর্নেল শামীম আহমেদ, পিএসসি ও পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম. নূর হোসেন নির্ঝর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ মানবিক কার্যক্রমে এলাকার স্থানীয় জনগণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কম্বল হাতে পেয়ে পুঠিয়ার কৃষ্ণপুর এলাকার পঙ্গু ৮০ বছরের বৃদ্ধা এরশাদ আলী বলেন, ছোট বেলায় অসুখে আমার পা দুইটা পঙ্গু হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী-সন্তান কেউ নাই। বয়স্ক ভাতার পাশাপাশি মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় কোন রকম জীবন যাপন করি। আমার লেপও নাই, তোষকও নাই। কম্বল পায়া আমার খুব উপকার হইলো।
রামজীবনপুর এলাকার ৮১ বছর বয়সী আব্দুল জব্বার কম্বল নিতে এসে বলেন, আমি লস্করপুর ডিগ্রী মহাবিদ্যানিকেতনের পিয়ন ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছি। এই ঠান্ডায় ছেলে-মেয়ে নিয়া কষ্ট করছি, কম্বল পায়া আমাদের ঠান্ডার কষ্ট কিছুটা লাঘব হলো। তাই আমি অনেক খুশি।
আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী বৃদ্ধা আমেনা বেওয়া বলেন, এই ঠান্ডার রাতে খুব জার লাগে, তেমন কাজ কামো নাই, কম্বল কিনবারো পারিনি। কেউ কম্বল দিবারো আইসে না, এই পরথম কম্বল পানু।
আরএইচ/এমবি