লালমনিরহাটে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, দুর্ভোগে খেটেখাওয়া মানুষ
Published : Friday, 5 January, 2024 at 4:38 PM Count : 192
লালমনিরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। রাজারহাট কৃষি আবাহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, শুক্রবার সকাল ৮ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা।
উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার কারণে বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষ।
সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের চিনাতুলি এলাকার লিয়াকত আলী জানান, প্রায় পনের দিন ধরে ঠান্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠান্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা শহরের রিকসাচালক সদর উপজেলার আজিজুল বলেন, আমি শহরে রিকসা চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে আর রিকসার হেন্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠান্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। শীত না যাওয়া পর্যন্ত খুব কষ্টে আছি।
রাজারহাট কৃষি আবাহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮ টায় জেলায় এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃহস্পতিবার যা ছিল দশ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও কয়েকদিন এই তাপমাত্রা বিরাজ করবে। চলতি জানুয়ারি মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ২০ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরো কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়া সাথে সাথে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এমএস/এমবি