প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল যে শিক্ষক হবো। সেটাও আবার প্রাইমারি স্কুলের। আমি তাই হতে চেয়েছিলাম। ওটা আমার খুব পছন্দের ছিল। কিন্তু আর হলো না।’
স্বপ্ন পূরণ না হবার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কারণ আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গেছেন। এ বাংলাদেশের মানুষের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করতো, জেলে নিয়ে যেত। বার বার আমাদের পড়াশোনায়ও বাধাগ্রস্ত হতো। তারপরও চেষ্টা করতাম। তবে পড়াশোনা শেষপর্যন্ত আর শেষই করতে পারিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন মাস্টার্সে ভর্তি ছিলাম। তখনই আমার বাবা-মা, ভাই সবাইকে মেরে ফেলা হলো। আমার ছোট বোন শেখ রেহানারও তখন পড়াশোনা চলছিল। আমরা দু'জন ছিলাম বিদেশে। কিন্তু তখন আর দেশে ফিরতে পারিনি। সে সময় যে সরকার ছিল, তারা আমাদের দেশে আসতেও দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর আমাদের বিদেশে থাকতে হয়েছিল, রিফিউজি হিসেবে। ফলে আমার মাস্টার্সটাও শেষ করতে পারিনি, আমার ছোট বোনও পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। তারপরও আমরা শিক্ষাটাকে গুরুত্ব দেই। আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দেই, তোমাদের কোনো সম্পদ আমরা রাখবো না। একটাই তোমাদের সম্পদ সেটা হলো শিক্ষা।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
-এমএ