হিমেল ঠান্ডায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া
Published : Tuesday, 19 December, 2023 at 10:42 AM Count : 333
রাতভর হিমেল ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। টানা চার দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বইছে হিমশীতল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৭, রোববার ১০ ডিগ্রি ও শনিবার ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
সকালে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত চার দিন ধরে এ অঞ্চলে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আগামী কয়েকদিন এ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সকালে পূব আকাশে সূর্যের আলো ছড়িয়ে উঠলেও রাত থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কমে হাড় কাপানো শীত অনুভূত হয়। স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিক হারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।
এদিকে, শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে। এ আয়ের মধ্য দিয়ে চলে তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ।
মহানন্দা ও ডাহুক নদীতে পাথর তোলা ইরফান, আজগর ও মোতালেবসহ কয়েকজন পাথর শ্রমিক জানান, নদীর পানি বরফের মতো ঠান্ডা। কিন্তু কী করবো, পাথর তোলা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। এ পাথর তুলেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাই পেটের তাগিদেই বরফ জলে নেমে পাথর তুলতে হচ্ছে।
চা শ্রমিক আরশেদ, সাইফুল, জামালসহ কয়েকজন জানান, এখন আগের মতো কুয়াশা নেই। কিন্তু কনকনে শীত। ভোরে প্রচন্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।
-এসকে/এমএ