রোববার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'জাতীয় পার্টির নিজস্ব চাওয়া আছে, তাদেরকে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রত্যাহার করে নেবে। নির্বাচনের পর দেশে আরব বসন্ত হবে- এমন উপাদান বাংলাদেশে নেই। আসন ছাড় ও প্রত্যাহারের বিষয়টি বিকেল ৪টার মধ্যে পরিস্কার হবে।'
তিনি বলেন, 'জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। কোনো অশোভন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। প্রার্থিতার বিষয়ে আজ বিকেল ৪টার মধ্যে ফাইনাল হবে। জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা বসেই আলোচনা করেছি এবং শুধুমাত্র আসন ভাগাভাগি নয়, বিএনপি নির্বাচন বয়কট, প্রতিরোধের যে ডাক দিয়েছে এটা নিয়ে নির্বাচনে আসা সমমনা দলগুলোর সবার যে ঐক্য থাকা দরকার সে বিষয়েও কথা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনকে ভাগাভাগি বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও প্রায় ২২০০ প্রার্থী আছে। সে নির্বাচন কিভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়? নির্বাচন বানচালে তারা যতই বাধা দিক নির্বাচন বাধাপ্রাপ্ত হবে না।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, '১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনকে এক বিএনপি নেতা পরাজয় দিবস বলছেন। পরাজয় তো বিএনপি ও জামায়াতের- পাকিস্তানের যারা দোসর। তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, গণতন্ত্রে তারা বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র সহিংসতা, গুপ্ত হামলা চালিয়ে নির্বাচন বানচালে তাদের রঙ্গিন খোয়াব সফল হবে না।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
-এমকে/এমএ