রাজশাহীতে কমেছে দিনের তাপমাত্রা। ফলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে বিক্রি বেড়েছে শীতের পোশাকের।
শনিবার বিকেলে মহানগরীর ফুটপাত ও অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি ছিল।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ-বিক্রেতারা তুলনামূলক বেশি দাম চাচ্ছে কাপড়ের।
দোকানগুলোতে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের শীতের পোশাক দেখা যাচ্ছে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সাইজ ও মানের জ্যাকেট, সোয়েটার, ব্লেজার, হুডি, মেগি হাতা জ্যাকেট, মোটা কাপড়ের টি-শার্ট, মাফলার, কানটুপিসহ হরেক রকমের শীতবস্ত্র।
তবে ফুটপাতগুলোতে হুডি, সোয়েটার, জ্যাকেট মোটা কাপড়ের টি-শার্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। শনিবার বিকেলে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, শিরোইল, মনিচত্বর এলাকার দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিপাতের পরের দিন শুক্রবার থেকে তুলনামূলক বেশি শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এখন আস্তে আস্তে শীত বেশি পড়বে। তাই অনেকেই শীতের কাপড় আগেই কিনে নিচ্ছেন।
শীতের কাপড় কিনতে আসা আসমা জাহান বলেন, বৃষ্টির পরে শীত বেড়েছে। বাড়িতে ১০ বছরের কম বয়স এমন দু’জন শিশু রয়েছে। এছাড়া একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। শীতে তাদের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। নতুবা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি হিসেবে শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে বিক্রেতারা দাম বেশি বলছেন।
অপর ক্রেতা মিলন ইসলাম বলেন, গত বছরের মতো দাম বললে বিক্রেতারা কাপড় দিচ্ছে না। তারা আরও বেশি দাম চাচ্ছেন। গত বুধবার এসেছিলাম। কিন্তু দাম মোটামুটি কম ছিল। অথচ শনিবার তারা বেশি দাম বলছে।
বিক্রেতা জনি ও রবিউল বলেন, বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পরে শুক্রবার থেকে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে। দোকানগুলোতে তুলনামূলক ক্রেতা বেশি আসছেন। তাদের কাছে বেশি বিক্রি হয়েছে জ্যাকেট ও হুডি।
তাদের দাবি, এখন থেকে বেশি শীত পড়তে শুরু করবে তাই তাদের বিক্রিও ভালো হবে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, রাজশাহীতে বুধবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৬ দশমিক ৯ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের পরে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়লেও কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমায় বেড়েছে শীত।
-এফএ/এমএ