For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

সপ্তম বারের মতো নৌকার মাঝি নূর-ই-আলম চৌধুরী

Published : Monday, 27 November, 2023 at 4:42 PM Count : 219


মাদারীপুর-১-(শিবচর) আসনের টানা ছয় বারের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী৭ম বারের মতো আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। 

রবিবার বিকেলে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের এ তালিকা প্রকাশ করেন। 

নূর-ই-আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় চীফ হুইপ ও টানা ২য় বারের আওয়ামীলীগের সংসদীয় পার্টির বর্তমান সাধারন সম্পাদক।
দশম জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। নবম জাতীয় সংসদের  হুইপ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি বঙ্গবন্ধুর বড় ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর বড় ছেলে । সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। পদ্মা আড়িয়ালখা নদসহ অসংখ্য খাল বিল জলাশয়সমৃদ্ধ এক সময়ের প্রত্যন্ত শিবচর উপজেলাকে মুক্তিযুদ্ধময় আবহে পরিকল্পিত উন্নয়নে দেশ সেরা আধুনিক উপজেলা গড়ার কারিগর এই নেতা। 

শিবচরের প্রতি জনপদ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ’আমার গ্রাম আমার শহর’ অনুসারে রুপদানের সফল বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম চলছে। শিবচরকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়তে নিয়েছেন  নানান প্রকল্প। 

শিবচর উন্নয়নের মডেল মানছেন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বও। শিবচরের পরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয় মহান জাতীয় সংসদে।  চীফ হুইপ তার প্রতিক্রিয়ায় তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে  নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

জানা যায়, চীফ হুইপের পিতা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী(দাদাভাই) ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। দাদাভাই  ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ। ১৯৭৩ সালে তিনি আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। ঢাকা-মাওয়া-শিবচর-খুলনা মহাসড়কটিও ছিল সংসদে তার প্রস্তাবিত। নারী শিক্ষার উন্নয়নে তার ভূমিকা আজো সমাদৃত। 

এরপর ১৯৯১  সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার মৃত্যুতে বিএনপি সরকারের আমলে উপ নির্বাচনে তার বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় নেতা কর্মী ও  এলাকার মানুষের সাথে রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ। যার প্রভাব দেখা যায় প্রতিটি নির্বাচনী ফলাফলেই। 

এর ফলে পদ্মা আড়িয়াল খাঁ নদসহ অসংখ্য নদ নদী খাল বিল সমৃদ্ধ শিবচর উপজেলা আজ দেশ সেরাদের কাতারে। সপ্তমবারের মতো একক প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন। ১৯৯১ সালের প্রথম উপ নির্বাচনের পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই ব্যবধান আরো বেড়ে ভোটের ব্যবধান দাড়ায় অর্ধ লাখেরও বেশি। 

বিরোধী দলে থেকেও তার কর্মতৎপরতা বিশেষ করে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি  বিশেষ টানের কারনে তিনি হয়ে উঠেন অপ্রতিদ্বন্দী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হন লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে। আর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান দাড়ায় ২ লক্ষাধিক। 

এসএসআর/এমবি
































« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,