For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

হরতাল-অবরোধে হোসিয়ারি শিল্পে বিপর্যয়

Published : Monday, 27 November, 2023 at 4:23 PM Count : 271


গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী হোসিয়ারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহরে। এ এলাকার প্রায় অর্ধশত কারখানায় লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা রয়েছে। আর এই শিল্পে পড়ছে হরতাল-অবরোধের প্রভাব। এখানকার উৎপাদিত শীতবস্ত্র নিয়মিত রপ্তানি করতে না পারায় চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এই শিল্পটি। সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ও নয়ারহাট মার্কেটে দেখা যায়, হোসিয়ারি শিল্পের উৎপাদিত শীতবস্ত্র বেচা-কেনার চিত্র। গত বছরের তুলনায় এবার দূরের পাইকারদের আনাগোনা অনেকটাই কম রয়েছে বলে ব্যবসায়ী সুত্রে জানা গেছে।   

জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মাড়োয়ারিদের কাছে পাওয়া হস্তচালিত দুটি যন্ত্র দিয়ে শুরু হয় কোচাশহরের হোসিয়ারি শিল্পের যাত্রা। কোচাশহর ইউনিয়নের পেপুলিয়া গ্রামে আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তির সুতি সুতায় বোনা মোজার মাধ্যমে হোসিয়ারি শিল্পের সূচনার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে। শীতকে ঘিরে এখানে তৈরী হয় সোয়েটার, কার্ডিগান, মোজা, মাফলার, টুপিসহ ১৫০ ধরনের শীতবস্ত্র। আর নয়ারহাট নামের শীতবস্ত্রের এই বাজারের শো-রুমগুলোতে পাওয়া যায় ওইসব পণ্য। 

এসব পোশাক তৈরি হয় কোচাশহর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর, শক্তিপুর, পেপুলিয়া-কানাইপাড়া, ধারাইকান্দী, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর, শ্রীপতিপুর, পুনতাইড়, জগদীশপুর, কুমিড়াডাঙ্গা, শালমারা ইউনিয়নের কলাকাটা. উলিপুর, দামগাছা, শালমারাসহ বিভিন্ন গ্রামে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দোকানীরা এখানকার প্রধান ক্রেতা। নয়ারহাটের চার শতাধিক দোকান থেকে পাইকারদের হাত ঘুরে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এখানকার ব্যবসায়ীদের আশা এবারের শীত মওসুমে বিক্রি হবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র। কিন্তু সেই স্বপ্নে ভাটা পড়েছে তাদের। সম্প্রতি দফায় দফায় হরতাল-অবরোধের কারণে শীতবস্ত্র অবিক্রিত থাকার আশঙ্কা করছে তারা। 
নয়াবন্দর কুটির শিল্প এসোসিয়েশনের নেতা মিজানুর রহমান জানান, এখানকার উৎপাদিত শীতবস্ত্র শুধু দেশের চাহিদা মেটায় না বরং তা বিদেশেও রপ্তানি হয়। কিন্তু দফায় দফায় হরতাল-অবোরেধর কারণে বাইরের গ্রাহকরা আসতে না পারায় বা রপ্তানি করতে না পারায় ব্যবসায় স্থবিরতা নেমেছে। 

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, নয়ারহাট বা কোচাশহরে ব্যাংকের কোনো শাখা চালু হয়নি। কোচাশহরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ণ ব্যাংক ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের এজেন্ট শাখা থাকলেও তা তেমন কাজে আসেনা। প্রতিদিন এই বাজারে কোটি কোটি টাকা বেচাকেনা হলেও ব্যাংক না থাকায় টাকা জমা ও তোলার জন্য ৭ কিলোমিটার দূরে মহিমাগঞ্জে ব্যাংকে যেতে হয় এখানকার ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে এখানকার কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। কোচাশহরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

টিএইচ/এমবি


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,